পার্থ চৌধুরী: বাড়ির সামনে বোরো ধান শুকাচ্ছিলেন দশরথ ধাড়া। আচমকাই তার দিকে বঁটি নিয়ে তেড়ে এল মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। নিজেকে বাঁচাতে বাবা যা করলেন তাতে সারাজীবন হয়তো তাকে তা তাড়া করে ফিরবে। বাবার বাঁশের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ছেলে। সোমবার এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির পিলঘুড়ি গ্রামে।
মৃতের নাম পিন্টু ধারা। বয়স ৩২ বছর। প্রতিবেশীদের দাবি, পিন্চু খানিকটা ভারসাম্যহীন ছিল। প্রায়ই ঝামেলা করত বাড়িতে। বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রীকেও ঝামেলা করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এদিন ধান মেলাকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর ছেলে পিন্টু বাবাকে বঁটি দিয়ে আঘাত করতে যায়। ওইসময় পাশে পড়ে থাকা একটি বাঁশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে বাবা দশরথ ধাড়া।
সেই আঘাতে পিন্টু লুটিয়ে পড়ে। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেওয়ানদিঘি থানার পুলিস এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মৃতের বাবা ও মাকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশী গৃহবধূ রীতা ধারা বলেন, সবাই বলছে বাপ-বেটায় ঝগড়া হচ্ছিল। নিহতের বাবা দশরথ ধাড়া উঠনে ধান শুকাচ্ছিল। সেইসময় ওর ছেলে ওকে বঁটি নিয়ে কাটতে যায়। কাছে আসতেই দশরথ ছেলের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই পড়ে যায় পিন্টু। সেখানেই ওর মৃত্যু হয়। পিন্টুর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামী মানসিকভাবে সুস্থ না হওয়ায় বনিবনা হয়নি। ও বউকে মারধর করত। তাই সে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। বাড়িতে অনেকেই ছিল। কিন্তু ঘটনা কারও চোখে পড়েনি। খবর পেয়ে পুলিস এসেছিল। আমি ছিলাম না। এসে দেখছে ঘরের দুয়ারে পিন্টুকে শোয়ানো রয়েছে।