১০০ মিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন, কোটালের বানে বাড়িঘর, জমি ভাসার আশঙ্কা কাকদ্বীপে
প্রতিদিন | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
সুরজিৎ দে, ডায়মন্ড হারবার: কাকদ্বীপের গোবদিয়া নদীতে ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামগোপালপুর হরেন্দ্রনগর মন্দিরের ঘাট এলাকায় এই ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রায় ১০০ মিটার এলাকাজুড়ে নদীবাঁধে এই বিশাল ধস নেমেছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। নদীর পাড়ে একাধিক দোকান রয়েছে। তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ওই সব দোকানের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর। প্রশাসনিক স্তরেও বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে খবর।
মুড়িগঙ্গায় সাগর এলাকায় ফের নদীবাঁধে ধস দেখা গিয়েছে। কপিল মুণির আশ্রমের অদূরে ওই ধস ফের নামতে শুরু করেছে। ধস বন্ধ করতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। এবার কাকদ্বীপের রামগোপালপুর হরেন্দ্রনগর মন্দিরের ঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও ওই এলাকায় ব্যাপকভাবে নদী ভাঙন হয়েছে। সেসময় প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ওই এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ সুনিশ্চিত করা হবে। কিন্তু তেমন কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
আজ সোমবার ভোর থেকে ওই এলাকায় ফের ভাঙন শুরু হয়। গোবদিয়া নদী ভয়াবহ আকার নিয়েছে। মন্দিরের ঘাট এলাক থেকে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় ধস নেমেছে। আরও বড় আকারে ধসে আশঙ্কাও করা হচ্ছে। নদী ক্রমশ এলাকায় ঢুকছে। কোটালের বান এলে ফুঁসতে থাকা নদী আরও ধ্বংসলীলা চালাবে। সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এলাকার দোকানগুলির সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোটালের বানে এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ নিয়ে ধস নামলে কৃষিজমি ও বসতিপূর্ণ এলাকায় জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা উৎপলকুমার পালের অভিযোগ, সেচ দপ্তরের কর্তারা ছয়মাস আগে কথা দিয়েছিলেন, খাঁচা ফেলে ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে জেটিঘাট পর্যন্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। কিন্তু আজও তা হয়নি। মানুষ আতঙ্কিত। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক স্থানীয় বাসিন্দা হীরালাল বারিক বলেন, “যেভাবে ধস নামতে শুরু করেছে, আজই সন্ধ্যার জোয়ারে দোকানপাট, ইলেকট্রিক পোস্ট সব নদীগর্ভে চলে যাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা গভীর সংকটের মুখে।” প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করছে বলে খবর।