• যুদ্ধে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারত, স্পষ্ট দাবি কর্নেল সৌমিত্র রায়ের
    প্রতিদিন | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • রমেন দাস: পহেলগাঁও কাণ্ডে জঙ্গিদের মদত দিয়েছে পাকিস্তানই। যুদ্ধ হলে পড়শি দেশকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারত। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেন শৌর্যচক্র সম্মানপ্রাপ্ত কর্নেল সৌমিত্র রায়।

    পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। এই আবহে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। অন্যদিকে, পাকিস্তানও তার পালটা জবাব দিয়েছে। পদক্ষেপ এবং পালটা পদক্ষেপের মধ্যে দুই দেশের ভবিষ্যৎ কী? সেই বিষয়ে কর্নেল সৌমিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে। তাই ভারতকে প্রতিরোধ করতে পাকিস্তান জঙ্গিবাদকে হাতিয়ার করেছে। নিরীহ সাধারণ মানুষ, সেনা প্রভৃতির উপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তান ভারতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করার চক্রান্ত করছে। কিন্তু ভারতের ক্ষমতা অনেক বেশি।” পহেলগাঁও হামলাকে ‘বিরল’ ঘটনা বলে আখ্যা দিয়ে কর্নেল সৌমিত্র বলেছেন, “বৈসরন ভ্যালির বুকে বেছে বেছে হিন্দুদের খুন করা হয়েছে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে বিরল।”

    এই নৃশংস জঙ্গি হামলার পর ক্ষোভে ফুঁসছে দেশবাসী। অনেকের মনেই প্রশ্ন, তাহলে কি সম্মুখ-সমরে নামবে ভারত-পাকিস্তান? ফের বাজবে যুদ্ধের দামামা? বাস্তবের মাটিতে কে এগিয়ে? কারণ, দুই দেশের কাছেই এখন রয়েছে পরমাণু অস্ত্র।  

    আত্মবিশ্বাসের স্বরে কর্নেল রায় বলেন, “আমি নিজে যুদ্ধ করেছি। তাই চোখ বন্ধ করে বলতে পারি ভারত পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে। সামরিক দিক থেকে দেখলে ভারত পৃথিবীর চার নম্বর শক্তি। সেখানে পাকিস্তান ১২ নম্বর। তবে ভারত সরাসরি যুদ্ধ চায় না। কিন্তু পাকিস্তানকে একটা জবাব দেওয়া জরুরি।” তাঁর সংযোজন, “এই হামলাগুলির মূলচক্রী হল পাকিস্তানের সেনা এবং তাদের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু নিধন করা হয়েছে। পাকিস্তান ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করার চেষ্টা করছে। তাই এবার তাদের উচিত শিক্ষা না দিলে স্থায়ী কোনও সমাধান সূত্র বেরবে না।”

    উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)