• টাকার বিনিময়ে মিলত জাল জন্ম সার্টিফিকেট, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পাওয়া গেল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
    এই সময় | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • অনলাইন ব্যবসার আড়ালে চলছিল জাল সার্টিফিকেট তৈরির কাজ। নামমাত্র টাকার বিনিময়েই সেই জাল জন্ম সার্টিফিকেট পাওয়া যেত বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলো একজনকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার  ভাতারের বলগোনা বাজারে হানা দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে অনেকগুলি জাল স্ট্যাম্প এবং বার্থ সার্টিফিকেটও। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু নথি এবং তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি পুলিশের।

    পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই চালানো হচ্ছিল এই কারবার। এই নিয়ে অভিযোগ আসার পরে অভিযান চালানো হয় বলগোনা বাজারে। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেখ হাসনাত জামান-কে। ওই ব্যক্তি  ভাতারের পাটনা গ্রামের বাসিন্দা ।  সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়।  আদালত হাসনাতের ২ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , মাস কয়েক আগে ভাতারের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম সেখ পাসপোর্ট তৈরির জন্য নথি জমা দিয়েছিলেন। তিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইস্যু করা জন্ম সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। তা যাচাই করার জন্য পাঠিয়েছিল জেলা গেয়েন্দা দপ্তর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেটটি জাল বলে জানিয়ে দেয়। এরপরই গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে ভাতার থানায় অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয় আনোয়ারাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই হাসনাতের নাম পায় পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে, হাসনাতের দোকান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল এবং ব্যাঙ্কের ৫০টির বেশি সীল ও স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি জাল সার্টিফিকেটও।  

    ভাতার থানার পুলিশ জানিয়েছে,  গত ৬ বছর ধরে, অনলাইন ব্যবসার  আড়ালে,  জাল সার্টিফিকেটের কারবার চালাতো হাসনাত। মূলত যারা স্কুলের গণ্ডি পার করেনি তাদেরই বেছে নিত হাসনাত। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার বিনিময়ে তাদের বানিয়ে দেওয়া হত জাল সার্টিফিকেট।

    কয়েকমাস আগেও এই চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। তাদের সঙ্গে হাসনাতের যোগ আছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও খোঁজ করছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)