নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: তীব্র রক্ত সঙ্কট মালদহ জুড়ে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান একেবারেই তলানিতে। তার উপর অসাধু চক্র আরও সক্রিয় হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। রক্তের সঙ্কট মেটাতে নতুন সূচি তৈরি করে ময়দানে নামল জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর।
জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, রক্ত সঙ্কট মেটাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক বছরে রক্তের চাহিদা এবং জোগানের যে ফারাক তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করে জেলাজুড়ে শিবিরের সূচি তৈরি করা হয়েছে। গরমে যাতে রক্তের সঙ্কট না হয়, সেই দিকটি দেখা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় গড়ে প্রতিদিন ১১৫ থেকে ১২৫ ইউনিট রক্তের আবেদন জমা পড়ে। প্রতি মাসে গড়ে ২১টি করে রক্তদান শিবির হয়। এক একটা রক্তদান শিবির থেকে ৩৫ থেকে ৪০ ইউনিট রক্ত পাওয়া যায়। ব্লাড ব্যাঙ্কে ২ হাজার ৫০০ ইউনিট রক্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়। অথচ মালদহে ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৯০০ ইউনিট রক্ত।
সোমবার মালদহের ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এনজিও, মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে সঙ্কট নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের দীর্ঘ বৈঠক চলে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজন ছাড়াই বেশকিছু নার্সিংহোম রক্ত মজুত করে রাখছে। অথচ বহু ক্ষেত্রে অভিযান চালিয়ে দেখা গিয়েছে, নার্সিংহোমের কর্মীরা জানেনই না কোন রোগীর জন্য রক্ত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। অনেক সময় এমনও নজরে এসেছে যে ফ্রিজে রক্ত পড়ে থেকে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।
জেলাশাসক এনিয়ে বলেন, কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বিশেষ নজরদারি দল তৈরি করা হয়েছে। রক্তের অপচয় যাতে না হয়, সেজন্য নার্সিংহোমগুলির উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মালদহের রক্তের সঙ্কট মেটাতে জেলায় একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। এবার ব্লক লেভেল কমিটি গঠন করা হবে।