• আইসক্রিমে পোকা! কারখানায় হানা ফুড সেফ্টি ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের
    বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: আইসক্রিমে পোকা মেলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। রবিবার জলপাইগুড়ির খড়িয়া পঞ্চায়েতের শোভাবাড়ি এলাকায় ঠেলাগাড়িতে বিক্রি হওয়া আইসক্রিম কেনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, তাতে পোকা কিলবিল করছে। খোঁজ নিয়ে বাসিন্দারা জানতে পারেন, জলপাইগুড়িতেই তৈরি হয় ওই আইসক্রিম। এরপরই তাঁরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সোমবার সকালেই জলপাইগুড়ির ওই আইসক্রিম কারখানায় হানা দেন ফুড সেফ্টি ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেখানে যে আইসক্রিম তৈরি হয়, তার হাতেনাতে প্রমাণ পান তাঁরা। এনিয়ে কারখানার মালিককে ধমক দেন তাঁরা। 

    দেখা যায়, এক্সপেয়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া রঙের (যে রং আইসক্রিমে মেশানো হয়) একাধিক প্যাকেট রয়েছে কারখানায়।এমনকী তৈরি করে রাখা বেশকিছু আইসক্রিমের পাশে এদিনও পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনটা দেখার পরই ক্রেতা সুরক্ষা ও ফুড সেফ্টি দপ্তরের আধিকারিকরা কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফেলে রাখা সমস্ত আইসক্রিম নষ্ট করে দেন। এক্সপেয়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া যাবতীয় সামগ্রীও নষ্ট করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আপাতত ওই কারখানায় আইসক্রিম তৈরি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মালিককে। তাঁকে নোটিস ধরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের সহ অধিকর্তা দেবাশিস মণ্ডল। এদিকে, এদিন বিকেলে ওই কারখানায় হানা দেন জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইসক্রিম তৈরি করতে হবে। এজন্য যেসব দপ্তরের ছাড়পত্র দরকার, আগে তা সংগ্রহ করে ব্লক প্রশাসনকে জানাতে হবে। যতদিন না মালিক তা করতে পারছেন, ততদিন ওই আইসক্রিম কারখানা বন্ধ থাকবে। কারখানার মালিক হরিপদ রায় বলেন, আইসক্রিমের ভিতরে কী করে পোকা এল, বুঝতে পারছি না। আমরা আইসক্রিমে কোনও খারাপ রং ব্যবহার করি না। তবে প্রশাসনের আধিকারিকরা যেমন নির্দেশ দেবেন, এবার থেকে সেইমতো চলার চেষ্টা করব। কারখানার ম্যানেজার বরুণ রায় বলেন, লাইটের পোকা কোনওভাবে আইসক্রিমের প্যাকেটে ঢুকে যেতে পারে। তাছাড়া এক্সপেয়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া রঙের প্যাকেটগুলি ব্যবহার করা হতো না। যদিও এক্সপেয়ারি ডেট পেরনো রং কেন আইসক্রিম কারখানায় রাখা হয়েছে, তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের সহ অধিকর্তার দাবি, এদিন ওই কারখানার আইসক্রিমের কিছু নমুনা দপ্তরের ভ্রাম্যমাণ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে গলদ পাওয়া গিয়েছে। আরও কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য দপ্তরের সেন্ট্রাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ওই আইসক্রিম কারখানার মালিককে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে দপ্তরে আসতে বলা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)