‘পলাতক’ বিজেপি নেতা সমবায় সমিতির ভোটে হাজির, পুলিস আসতেই গা ঢাকা
বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: বিজেপির ‘পলাতক’ মণ্ডল সভাপতির উপস্থিতিতে হল সমবায় সমিতির নির্বাচন। অভিযোগ, ধরা পড়ার ভয়ে পুলিস দেখে দৌড়ে পালিয়ে ফের গা ঢাকা দেন বিজেপির ধূপগুড়ি পূর্ব মণ্ডল সভাপতি বসন্ত রায়। রবিবার ধূপগুড়ির গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজীপাড়া সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জয়লাভ করে বিজেপি। বাকি দু’টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিযোগ, সমবায় সমিতির নির্বাচনে উপস্থিত থেকে রীতিমতো দাপিয়ে ভোট করান নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত পূর্ব মণ্ডলের সভাপতি। এমনকী সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হওয়ায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আবির খেলতেও তাঁকে দেখা যায়। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিজেপি।
সম্প্রতি বসন্ত রায় সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতন সহ যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে থানায় এজাহার করেন তাঁরই এক নিকটআত্মীয়। ওই বধূ বসন্ত রায় সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন। ফলে কিছুদিন থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বসন্ত রায়। তবে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বসন্ত রায়ের উপস্থিত নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মহলে। তৃণমূল নেতারা বলেন, রাজ্যে নারীদের সুরক্ষা নেই বলে জিগির তুলে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত বিজেপি। সেখানে বধূ নির্যাতন এবং যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নেতাকে দিয়ে ভোট করাচ্ছে বিজেপি। যদিও বসন্ত রায়ের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও মুখ খুলতে রাজি হননি। এমনকী ধূপগুড়ির বিজেপির কোনও নেতা সরাসরি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় বিজেপি নেতা নরেশ রায় বলেন, রাজ্যে ক্রমাগত নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। বিজেপি এর নিন্দা জানায়। তবে ওই নেতার ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য আগুন রায় বলেন, বসন্ত রায়ের ব্যক্তিগত বিষয়ে কিছু বলব না। ওই ভোটে উনি ছিলেন কি না খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তৃণমূলের ধূপগুড়ি (গ্রামীণ) ব্লক সভাপতি মলয় রায় বলেন, নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের এটা দেখা উচিত। যদিও ধূপগুড়ি থানার এক পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, অভিযোগ জমা পড়ার পর থেকে ওই ব্যক্তি বেপাত্তা। রবিবার তাকে এলাকায় দেখা গিয়েছে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ফের গা ঢাকা দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।