স্কুল ভবনে একাধিক ফাটল, বিপজ্জনক অবস্থাতেই ক্লাস করছে ২৮০০ পড়ুয়া
বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, চাঁচল: দেওয়াল জুড়ে ফাটল। কংক্রিটের পিলারগুলি থেকে কোথাও কোথাও বেরিয়ে এসেছে রড। ভবনে একাধিক ফাটল থাকলেও আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস করছে চাঁচল ১ ব্লকের শীতলপুর মোবারকপুর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। ভয়ানক অবস্থা উত্তর প্রান্তের ভবনটির। যার জেরে ঘরের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সেটি দ্রুত ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি তুলেছে অভিভাবক মহল। তাঁদের দাবি, প্রায় বছরখানেক আগে ফাটল ধরেছে। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে সেই নড়বড়ে ভবনের ১০ টি ঘরে ক্লাস বন্ধ রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৭টি ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। তবে কম জায়গায় বেশি পড়ুয়া থাকায় পঠনপাঠন চালাতে সমস্যা হচ্ছে। চাঁচল বিধানসভার মকদমপুর,অলিহোন্ডা, বরুই ও মহানন্দপুর সহ প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা সেখানে পড়তে আসে। ভবনের এই দশা দেখে উদ্বেগে বাসিন্দারাও। স্থানীয় মোজাম্মেল হকের কথায়, ভবনটি রাস্তার ধারে রয়েছে। ভেঙে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে দ্রুত ভাঙার ব্যবস্থা করা হোক। অভিভাবক লক্ষণ দাস বলেন, ওই ভবনে ক্লাস না চললেও মাঠে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলো করে। দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে?
স্কুল সূত্রে খবর, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ২৮০০ ছাত্রছাত্রী। গত বর্ষার সময় পূর্বদিকের ভবনটিতে ফাটল দেখতে পায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সিঁড়ির অংশ ভেঙে পড়েছে। প্রতেকটি ঘরের দেওয়াল, পিলার ও ছাদজুড়ে ফাটল ধরায় আতঙ্কিত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রছাত্রীরা। যে কোনও সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে বলে আশঙ্কা। বিপদ বুঝে সেই ভবনের ঘরগুলিতে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সেটি ভেঙে পড়লে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে দাবি অভিভাবকদের। এপ্রসঙ্গে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি মোকাদ্দেম সরকারের মন্তব্য, ওই ভবনটির পাশে যাতে কেউ না যায়, সতর্ক করা হয়েছে। সেখানে পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ক্লাসের দুটি বিভাগকে এক করে পাঠদান করা হচ্ছে। সমস্যা দ্রুত মিটবে। শীতলপুর মোবারকপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহেনুর হক বলেন, ভবনের নড়বড়ে কিছু অংশের সংস্কার করা হয়েছে। বিকাশ ভবনে নতুন বিল্ডিং নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয় কয়েকমাস আগে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে। ছ’মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। নিজস্ব চিত্র