সংবাদদাতা, কান্দি: রাস্তা থেকে পিচ, পাথর উধাও। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত, তাতে জল জমে রয়েছে। ফলে প্রায়দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। তিন বছর ধরে এমন সমস্যায় ভুগছেন বড়ঞা ব্লকের কুরুননুরুন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। তাই সোমবার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। পরে সেখানে বড়ঞা থানার পুলিস পৌঁছে আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম থেকে বীরভূমের ভাস্তর গ্রাম পর্যন্ত ওই রাস্তাটি। আট কিলোমিটার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার ওই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল প্রায় ১৫ বছর আগে। ওই সময়ের মধ্যে দু’বার রাস্তার সংস্কারও করা হয়েছিল বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। কিন্তু গত তিন বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাস্তাটি।
বাসিন্দারা জানান, একেবারে বেহাল বলতে যা বোঝায়, রাস্তার চরিত্রে সবটাই রয়েছে। গোটা রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। মাঝে বড় গর্ত। সেই গর্তে জল জমে বিপদ আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রায়দিনই অটো, টোটো, বাইক দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। আবার এই রাস্তার উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও ট্রাক্টর। এলাকার দু’টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
তাই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাসিন্দাদের একাংশ রাজহাট ও দুর্গি গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় অবরোধ শুরু করেন। ফলে সেখানে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। এমনকী টোটোয় চড়ে যাতায়াত করা স্কুল ছাত্রছাত্রীরাও এদিন স্কুলে পৌঁছতে পারেনি। স্থানীয় মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল ছাত্রী সুপর্ণা দাস জানায়, অবরোধে আটকে পড়েছি। তাই আজ অনেকেই স্কুলে যেতে পারলাম না। তাতে আমাদের কোনও আক্ষেপ নেই। আমরা চাই রাস্তার সংস্কার হোক। অবরোধকারী প্রবীণ ব্যক্তি পলাশলোচন ঘোষ বলেন, আমাদের দাবি রাস্তা মেরামত করা হোক দ্রুত। স্থানীয় কুরুননুরুন পঞ্চায়েত প্রধান বুলটি রায় বলেন, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আজকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমিও সামিল হয়েছি।
এদিকে প্রায় দু’ঘণ্টা অবরোধের পর বড়ঞা থানার পুলিসের চেষ্টায় অবরোধ উঠে যায়। এবিষয়ে বড়ঞা বিডিও গোবিন্দ দাস জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সোমবার বড়ঞা ব্লকের রাজহাট ও দুর্গি গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় অবরোধ বাসিন্দাদের। -নিজস্ব চিত্র