• রহরমতপুর পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ করার জেরে ভোগান্তি
    বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, করিমপুর: সাতবছর আগে করিমপুর-২ ব্লকের রহমতপুর পঞ্চায়েত ন’লক্ষ টাকা খরচে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও শববাহী গাড়ি পরিষেবা চালু করে। কিন্তু, দেখভালের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বহুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রহমতপুরের কাছাকাছি হাসপাতাল বলতে প্রায় ১৫কিমি দূরে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। এছাড়া ৮০কিমি দূরে কৃষ্ণনগর হাসপাতাল রয়েছে। এত দূরে রোগীকে নিয়ে যেতে প্রায়ই গ্রামের মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই কারণে ফের পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালুর দাবি তোলা হয়েছে।

    ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ওই অ্যাম্বুলেন্স চালু করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে টোটো বা অটোয় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া, রাতবিরেতে গাড়ি পাওয়া কঠিন। সেই জন্য অ্যাম্বুলেন্স পেয়ে খুব সুবিধা হয়েছিল। কম খরচেও অল্প সময়ে এলাকার কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু, এখন ওই পরিষেবা বন্ধে স্থানীয়রা মহা সমস্যায় পড়েছেন।

    রহমতপুরের গোয়াস গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আমাদের এখান থেকে রোগীদের প্রথমে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। গুরুতর অসুস্থ হলে দূরের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেজন্য তাড়াতাড়ি ওই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ফের চালুর দাবি উঠেছে।

    রহমতপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সৌমেন বিশ্বাস বলেন, পঞ্চায়েতের প্রায় ন’লক্ষ টাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি কেনা হয়েছিল। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের তুলনায় কম ভাড়ায় রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো। প্রায় চারবছর এই পরিষেবা ঠিকঠাক চলছিল। পঞ্চায়েত থেকেই অ্যাম্বুলেন্স দেখভালের খরচ বহন করা হতো। তারপর নতুন বোর্ড গঠনের পর থেকেই অ্যাম্বুলেন্সটিবন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন সেটা কোথায় আছে কে জানে।

    রহমতপুরের বর্তমান প্রধান শম্পা বিশ্বাস বলেন, আগে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্স দেখভাল করা হতো। এখন পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের আয় কমে গিয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১৫ অর্থ কমিশনের টাকায় অ্যাম্বুল্যান্সটি মেরামত ও ফের চালু করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)