নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: জেলার বেশকিছু এলাকা থেকে গাড়িতে চাপিয়ে কর্মী-সমর্থকদের আনা হয়েছিল। সোমবার মঞ্চ কাঁপাতে এসেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। কারণ, দিলীপ ঘোষকে এনেও মাত্র পাঁচশো লোক জোগাড় করতে পারল না জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এর ফলে দিলীপ শো কার্যত ফ্লপ। জানা গিয়েছে, হিন্দুদের উপর আক্রমণ ও যোগ্য শিক্ষকদের চাকরিতে পুনর্বহাল ইস্যুকে সামনে রেখে বিক্ষোভ মিছিল ও সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। দিলীপবাবু ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ খগেন মুর্মু, জেলা বিজেপির সভাপতি শমিতকুমার মণ্ডল সহ প্রথম সারির নেতা-কর্মীরা। এদিন জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন বিজেপি নেতারা।
কিন্তু ‘মেগা শো’ ফ্লপ হল কেন? বিজেপির নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিলীপ গোষ্ঠীর নেতারাই আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। দিলীপ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের মঞ্চে জায়গা হয়নি। জনসংযোগ নেই, এমন কিছু নেতা এই কর্মসূচির দায়িত্ব নেওয়ায় লোক হয়নি। দিলীপবাবু যখন বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময় মঞ্চের সামনে ২০ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিন বটতলাচক থেকে কালেক্টরেট মোড় পর্যন্ত বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। দিলীপবাবু এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদের মাথা থেঁতলে দিয়েছে। কিন্তু লেজ একটু একটু নড়ছে। এটাও বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ওখানে জোর করে নির্বাচন করিয়েছে। আর ওখানে ২৬ জন মারা নিরীহ মানুষ মারা গেলেন। তিনি আরও বলেন, এখানে যদি দুর্গাপুজো, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো করতে হয়, তাহলে হিন্দু বাংলা চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দিন সত্য কথা বলেন না। তাঁর হাতে দুর্নীতির কালি লেগে আছে। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এই দলটা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে করতেই হারিয়ে যাবে। আসলে মানুষের জন্য তো কাজ করতে হয়না। তৃণমূলকে সমস্ত ধর্মের মানুষ পছন্দ করেন। তার কারণ জাতি-ধর্ম দেখে তৃণমূল কাজ করে না। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ রফিক বলেন, ধর্ম নিয়ে যতই লাফালাফি করুক, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন সমস্ত ধর্মেরই মানুষ। তাই আগামী নির্বাচনে উচিত শিক্ষা পাবে বিজেপি।