বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে গাঁজা পাচার রুখল বিএসএফ, গ্রেপ্তার চার
বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় পাচার রুখতে গুলি চালাতে হয় বিএসএফকে। সেই গুলিতে নিহত হয়েছে এক বাংলাদেশি চোরাকারবারি। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সামগ্রী। রবিবার রাতেও সীমান্তরক্ষীরা রুখে দিয়েছেন পাচার। ওইদিন ঘটনাস্থল ছিল বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ঘোজাডাঙা সীমান্তে ১০২ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা ডিউটি করছিলেন। গোপন সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন, সীমান্ত ফাঁড়ির এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে জিনিসপত্র পাচার হবে। এরপরই সতর্ক হয়ে যান জওয়ানরা। গভীর রাতে জওয়ানরা সন্দেহভাজন চারজনকে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে যেতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানরা ওই এলাকা ঘিরে ফেলেন এবং চারজন বাংলাদেশি পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে মোট ২১ কেজি গাঁজা এবং ৩৬৪টি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বোতল উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় ধৃতরা স্বীকার করে যে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় গাঁজা, ফেনসিডিল এবং ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের। ধৃতদের মধ্যে একজন গত পাঁচ বছর ধরে এই কারবার করছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। ওইদিন সে তার তিন শাগরেদকে নিয়ে ‘উন্মুক্ত’ সীমান্তের ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে অবৈধ সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল। তবে, তার আগেই বিএসএফ জওয়ানরা তাদের ধরে ফেলে।
মূল পাচারকারী জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেনসিডিল চোরাচালানের সময় বিজিবি’র ৩৩ তম ব্যাটালিয়ন তাকে গ্রেপ্তার করে। ৩৫ দিন সে সাতক্ষীরার জেলে বন্দি ছিল। তারপর মুক্তি পেতেই ফের এই কারবারে নামে। উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এনিয়ে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ভালো সাফল্য মিলেছে।