হাওড়ায় ওষুধের দোকানে হানা দিয়ে নিষিদ্ধ সিরাপ ও ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত
বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: দিনের পর দিন ধরে দেদার বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ, কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ। মুঠো মুঠো সেইসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কিনে নিয়ে যাচ্ছে কমবয়সি কিশোররা। চলছে সস্তার নেশা। সোমবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনের কাছে এমনই একটি ওষুধের দোকানে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিস। ওষুধের দোকানের দুই মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকার কম-বেশি বহু ওষুধের দোকানেই এখন এইসব ‘নেশার সামগ্রী’ মিলছে সস্তায়।
এদিন দুপুরে হাওড়া স্টেশনের কাছে দীঘা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ভিখারাম কানোরিয়া রোডের একটি ওষুধের দোকানে আচমকা হানা দেয় গোলাবাড়ি থানার পুলিস। দোকানে নিষিদ্ধ ওষুধের স্টক দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠে আধিকারিকদের। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দোকান থেকে ১০০ এমএল-এর ১,৫৮০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫৭৯ গ্রাম ঘুমের ওষুধও বাজেয়াপ্ত করা হয়। যদিও দোকান কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, প্রায় সব দোকানেই নাকি প্রেসক্রিপশন ছাড়া এইসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। পুলিস চাইলে সেসব দোকানে তল্লাশি করতেই পারে।
পুলিস জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানের দুই মালিককে থানায় আটক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কোথা থেকে এই ওষুধ এসেছে, এর পিছনে কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, সকাল থেকেই ছোটখাট ওষুধের দোকানে তরুণ-কিশোরদের ভিড় দেখা যায়। তারাই মূলত নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ ও ট্যাবলেটের খরিদ্দার। তাদের বেশিরভাগই আবার হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছিনতাইয়ে সিদ্ধহস্ত। এই ধরনের ছোট-মাঝারি ওষুধের দোকানে পুলিস লাগাতার অভিযান চালাক, এমনটাই চাইছেন স্থানীয়রা। নিজস্ব চিত্র