অভিষেক পাল, বহরমপুর: বঙ্গ বিজেপির সভাপতি কে হবেন? এই প্রশ্নের আবহে আচমকাই বহরমপুরের এক সঙ্ঘ নেতার নাম এসে গেল দৌড়ে। তাঁর নাম কল্যাণ সাহা। গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী ডঃ নির্মল কুমার সাহার দাদা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা কল্যাণবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা সেরেছেন। আগেও রাজ্যের তাবড় বিজেপি নেতারা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু এবারের মতো দীর্ঘ বৈঠক বেনজির। ব্যবসায়ী, সঙ্ঘ নেতা এবং বিবেকানন্দ বিদ্যা বিকাশ পরিষদের পদাধিকারী—এই তাঁর পরিচয়। আরএসএসের ক্ষেত্র প্রচারক রমাপদ পালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠও।
কিন্তু হঠাৎ কেন মুর্শিদাবাদের সঙ্ঘ নেতা? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কার্ডকে হাতিয়ার করেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যেতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সংখ্যালঘু প্রভাবিত এই জেলার এক নেতাকে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়াটা চমক তো বটেই। আর সেই কারণেই কল্যাণবাবুকে নিয়ে জেলার নেতাদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে। কল্যাণ সাহার বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর। রাজ্য সভাপতির পদে তাঁকে নিয়ে জল্পনার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই বয়সে এমন পদে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ভালো একটা গুজব রটেছে। আমি আরএসএস করি, বিজেপির সক্রিয় সদস্যই নই। কীভাবে সভাপতি হব?’ তবে কল্যাণবাবুর পাশাপাশি লালবাগের আরও এক নেতার নাম ভেসে উঠেছে। শমীক ভট্টাচার্য, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, অগ্নিমিত্রা পালের মতো পরিচিত নামের সঙ্গে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নেতারা আলোচনায় চলে আসায় সরগরম হয়ে উঠেছে গেরুয়া রাজনীতি।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লাল্টু দাস কিন্তু আশাবাদী। তাঁর কথায়, ‘মুর্শিদাবাদ পিছিয়ে পড়া জেলা। সেখান থেকে সঙ্ঘের কাউকে যদি বিজেপি সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়, ভালোই হবে।’ জেলার আর এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘এ রাজ্যে যখন বিজেপির কিছুই ছিল না, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের বহু নেতা, এমনকী সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারাও অনেকে এসে কল্যাণবাবুর বাড়িতে উঠতেন। অত্যন্ত মৃদুভাষী ও সজ্জন।’