• দিঘায় জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনের দিনেই মুর্শিদাবাদে বিজেপির ‘মন্দির কর্মসূচি’
    এই সময় | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই মুর্শিদাবাদে ভাঙচুর হওয়া মন্দির ফের নির্মাণের কর্মসূচি নিল বিজেপি।

    তৃণমূলের এক মুখপত্রের প্রশ্ন, ‘দিঘায় এই মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা যখন হচ্ছিল, তখন শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন। এখন এই পাল্টা কর্মসূচির মানে কী? ওঁরা কি প্রভু জগন্নাথের সঙ্গে লড়াই করতে চাইছেন?’

    মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানে অশান্তির সময়ে একাধিক মন্দির ভাঙচুর–লুটপাট হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার কথা আগেই ঘোষণা করেছি‍ল গেরুয়া শিবির। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে, বুধবার ভাঙচুর হওয়া মন্দির পুনরায় নির্মাণ করার কাজের সূচনা হবে।

    সুকান্ত ওই দিন মুর্শিদাবাদে যাবেন। তাঁর কথায়, ‘আমি মুর্শিদাবাদের ভাঙা মন্দিরগুলিতে যাব। মূর্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হবে। মন্দিরগুলি চালু করা হবে।’

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানে মোট ন’টি মন্দির ভাঙচুর হয়েছে। শুভেন্দু এ দিন ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ‘১১ ও ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের গ্রামগুলিতে হামলা হয়েছিল। সেখানে মন্দির কমিটিগুলির হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। ৩০ তারিখ অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সকাল দশটায় পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে মন্দিরগুলি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে।’

    রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপির হিন্দুত্ব মেকি হিন্দুত্ব। তাই জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে ভক্তদের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করতে ওরা ট্রেন বন্ধ করেছে। দিঘার এই মন্দির ইতিহাসের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। সেখানে বিজেপির নেতারা নানা কৌশলে হিন্দু ধর্মের গরিমাই নষ্ট করছেন।’

    কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে মন্দির নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। লোকসভা ভোটের আগে ঘটা করে রাম মন্দির উদ্বোধন হলো। এখানেও সরকারি টাকায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে।’

    সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার সময় পাননি। আর তেহট্টে যে দিন শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের দেহ এল সে দিন সুকান্ত নদিয়াতে থেকেও মালা দিতে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। এঁরা শুধু মন্দির ভাঙা–গড়ার রাজনীতিতেই ব্যস্ত।’

  • Link to this news (এই সময়)