• রোগীর পরিচয় দেখবেন না, ডাক্তারদের আহ্বান সংগঠনের
    এই সময় | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: পহেলগামের ঘটনায় সারা দেশেই কমবেশি আঁচ লেগেছে হিন্দু-মুসলিমের সহিষ্ণুতার বাতাবরণে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, মহেশতলার সাম্প্রতিক একটি ঘটনা তারই প্রতিফলন, যেখানে এক মুসলিম অন্তঃসত্ত্বাকে দেখতে অস্বীকার করেন এক হিন্দু প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। এমন ঘটনা যাতে আগামী দিনে আর না ঘটে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগীর পরিচয় যাতে না দেখা হয়, সেই মর্মে আহ্বান জানালো একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে সোমবার কালো ব্যাজ পরে ডাক্তারি করার মাধ্যমেও হিপোক্রেটিসের শপথ মনে করিয়ে দিলো ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখা।

    চিকিৎসক সংগঠনগুলির বক্তব্য, রোগীর নাম–পদবি–পরিচয় না দেখেই চিকিৎসার হাত বাড়িয়ে দেওয়া তাঁদের কর্তব্য। আইএমএ রাজ্য শাখার সম্পাদক শান্তনু সেন জানান, চিকিৎসক সমাজের প্রতি তাঁদের আর্জি, কোনও চিকিৎসক যেন রোগীর ধর্ম দেখে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে পড়েন এবং নিছক রোগী হিসেবেই নিঃস্বার্থ চিকিৎসা করেন। পহেলগামের ঘটনার প্রতিবাদে ডাক্তারদের এ দিন কালো ব্যাজ পরার ডাক দেন তিনি। শান্তনু নিজেও তা–ই করেন। কালো ব্যাজ পরেই রোগী দেখেন, আলট্রাসোনোগ্রাফি করেন। তিনি বলেন, 'এই সঙ্কটের সময়ে আমরা পারস্পরিক বিশ্বাসকে সঙ্গী করে ঐক্যবদ্ধ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবো, এটাই আমাদের প্রার্থনা। মনে রাখতে হবে হিপোক্রেটিসের শপথের কথাও।'

    একই বক্তব্য পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এবং অভয়া মঞ্চেরও। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক পূণ্যব্রত গুণ, তমোনাশ চৌধুরী ও মণীষা আদক একটি প্রেস বিবৃতিতে জানান, আমরা জনসাধারণ এবং সমগ্র চিকিৎসক সমাজকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, চিকিৎসক হওয়ার সময়ে যে হিপোক্রেটিক শপথবাক্য পাঠ করেন, তা মেনে চললে তাঁরা রোগীদের মধ্যে বিভেদ করতে পারেন না। চিকিৎসা সংক্রান্ত দেশের যে আইনকানুন আছে, তা মেনে চললেও পারেন না। লিঙ্গ–বর্ণ–ধর্ম–দেশ ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি নির্বিশেষে রোগীকে পরিষেবা দিতে একজন চিকিৎসক আইনগত ও নৈতিক ভাবে বাধ্য।' মহেশতলার ওই অভিযুক্ত চিকিৎসককে ধিক্কারও জানিয়েছেন তাঁরা।

  • Link to this news (এই সময়)