রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড় একটি অংশের DA-সহ বেতন ঢুকল মঙ্গলবার সকালে। ৪ শতাংশ ডিএ-সহ এ মাসের বেতন ঢুকেছে। বাজেটেই ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন করে এই DA পেয়ে খুশি সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। যদিও অন্য একটি অংশ বলছেন, ‘কেন্দ্রের DA-র হার ৫৫ শতাংশ। ৪ শতাংশ নতুন করে যুক্ত হয়ে রাজ্যের হার দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশ। এখন ফারাক ৩৭ শতাংশ। এতটা ফারাক কাম্য নয়।’
বেসিকের উপর দেওয়া হয় এই DA। যেমন, ধরা যাক একজন গ্রুপ ডি স্টাফ এখন বেসিক পান ১৭ হাজার টাকা। এই ৪ শতাংশ ধরে ৬৮০ টাকা আরও তাঁর বেতনে যুক্ত হবে।
যদিও স্কুল শিক্ষকদের বা শিক্ষাকর্মীদের মাইনে এ দিন ঢোকেনি। সাধারণত, মাসের শেষ তারিখ বা এক অথবা দুই তারিখ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের বেতন হয়ে থাকে। ফলে অনেকেই আশাবাদী, আগামী কাল মাইনে হবে তাঁদের। স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন, ‘অনেক মাসেই দেখা গিয়েছে, আমাদের এক বা দু’দিন আগেই সরকারি কর্মীদের বেতন হয়েছে। ফলে এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’
২০২৬ সালে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হয়েছে এই বছর। তার আগে এক ধাপে ৪ শতাংশ বর্ধিত ডিএ পেলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। অনেকেই আশাবাদী, ভোটের আগে আর এক দফাও বাড়তে পারে ডিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘পে কমিশনের টাকা-সহ বর্ধিত ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা। ফলে টাকার পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে।’ তবে কেন্দ্র রাজ্য ফারাকের পরিমাণ নিয়ে অসন্তুষ্ট অনেকেই।