• যাদবপুরের দেওয়াল থেকে মুছল ‘আজাদ কাশ্মীর’ স্লোগান, পহেলগাঁও আবহে ‘সাবধানী’ পদক্ষেপ?
    প্রতিদিন | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • রমেন দাস: পহেলগাঁওয়ের হামলা দেখিয়েছে কাশ্মীরের বুকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আস্ফালন। ২৬ নিরীহ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে সন্ত্রাসের করাল স্মৃতি চিরস্থায়ী হয়ে গিয়েছে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন অনেকেই। সাবধানী পদক্ষেপ নিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। চিরকাল ছাত্র আন্দোলনের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম হল না। কঠিন সময়ে রাতারাতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়াল থেকে মুছে গেল বিতর্কিত সব স্লোগান। ‘আজাদ কাশ্মীর’ মুছে এখন ঝকঝকে দেওয়াল ক্যাম্পাসে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ।

    ২২ এপ্রিল বৈসরন উপত্যকায় বেড়াতে পর্যটকদের মধ্যে বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ দূষিত করতে জঙ্গিদের এহেন কাজ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশ। এই সময়ে কোনওরকম উসকানি, প্ররোচনা এড়িয়ে যেতে চাইছেন সকলে। এই আবহে সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে ইউনিট প্রেসিডেন্ট কিশলয় রায় একটি স্মারকলিপি জমা দেন রেজিস্ট্রারের কাছে। তাতে দাবি ছিল, ক্যাম্পাসের দেওয়াল থেকে ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর মতো সমস্ত প্ররোচনামূলক স্লোগান মুছে দেওয়া হোক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে টিএমসিপি নিজেই তা মোছার উদ্যোগ নেবে। মঙ্গলবারই দেখা গেল, সেখানে আর কোনও দেওয়াল লিখন নেই, সব মুছে দেওয়া হয়েছে।

    এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী রেজিস্ট্রার ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”আমরা অনেকদিন ধরে এসব স্লোগান মোছার চেষ্টা করেছি। এর তো একটা প্রক্রিয়া আছে। কোনও সংস্থাকে বরাত দিয়ে কাজ করাতে হতো। এবার সেই কাজটা হল। কারও আবেদন মনে আমরা করিনি। কর্তৃপক্ষও কোনও উসকানিমূলক স্লোগান লেখা বরদাস্ত করে না।” এদিকে, কিশলয় রায়ের দাবি, ”পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর আমরা একটা স্মারকলিপি দিয়েছিলাম রেজিস্ট্রারকে। বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আমরাই ‘আজাদ কাশ্মীর’-সহ সব স্লোগান মুছে দেব।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)