চার মেট্রো স্টেশনের নামবদল! বিকল্প নাম-সহ প্রস্তাব জমা পড়ল নবান্নে
প্রতিদিন | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: চার মেট্রো স্টেশনের নামবদলের প্রস্তাব। চার রুটের চার স্টেশনের নামবদল করার প্রস্তাব বিভিন্ন মহল থেকে রাজ্যের কাছে দেওয়া হয়েছে। জোকা-ধর্মতলা প্রকল্পের খিদিরপুর, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর প্রকল্পের জয়হিন্দ, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর প্রকল্পের মধ্যে থাকা ভিআইপি রোড/তেঘরিয়া এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান, এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ, মহাকরণ স্টেশনের যে কোনও একটির নাম বদলের প্রস্তাব জমা পড়েছে।
যাঁরা এই স্টেশনগুলোর নামবদলের দাবি জানিয়েছেন, তাঁরা পরিবর্তিত স্টেশনের নাম কী হবে, তা-ও ঠিক করে দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, খিদিরপুর মেট্রো স্টেশনের নাম সেন্ট থমাস স্কুল খিদিরপুর অথবা খিদিরপুর সেন্ট থমাস স্কুল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সেন্ট থমাস স্কুল কর্তৃপক্ষ।
কবি সুভাষ-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের ভিআইপি রোড/তেঘরিয়া স্টেশনের নাম হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর স্টেশন নামের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব দিয়েছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ, শ্রীধাম ঠাকুরনগর, ঠাকুরবাড়ি এবং তেঘরিয়ার রেবতী রঞ্জন রায়। কিশোর কুমার ফ্যান ক্লাবের (ডানলপ) তরফে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান, এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ, মহাকরণের মধ্যে যে কোনও একটি স্টেশনের নাম কিশোর কুমারের নামে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
আর সবশেষ ‘জয়হিন্দ’ স্টেশনের নাম জয়হিন্দ বিমানবন্দর রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মেট্রোর চিফ অপারেশন ম্যানেজারের তরফে। অনেকের মতেই বিমানবন্দর স্টেশনের নাম শুধু জয়হিন্দ রাখলে বুঝবেন না, সেটা বিমানবন্দর স্টেশন। দুটি মেট্রো রুট সংযোগ করবে এই স্টেশন। একদিকে নোয়াপড়া চলে যাওয়া যাবে। অন্যদিকে কবি সুভাষ বা নিউ গড়িয়া। ফলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান থেকে নেমেই মেট্রো পরিষেবা পেয়ে যাবে সাধারণ মানুষ। তাঁদের সুবিধার্থেই এই স্টেশনের নাম শুধু জয়হিন্দ না রেখে জয়হিন্দ বিমানবন্দর রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মাটির নিচে এশিয়ার বৃহত্তম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন হচ্ছে এটি। বিমানযাত্রীদের কাছে লাগেজ থাকে৷ সেই লাগেজ মেট্রোর প্ল্যাটফর্ম অবধি টেনে আনার সুবিধা করে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে স্টেশনে।
তবে এই চার মেট্রো স্টেশনের নামবদল এখন রয়েছে প্রস্তাবনার স্তরে। বিভিন্ন মহল থেকে আপাতত তা এসেছে রাজ্যের কাছে। কারণ মেট্রো স্টেশনের এই নামের বিষয়টি রাজ্য সরকারই দেখে। প্রাথমিকভাবে তা পরিবহণ দপ্তরের কাছে এসেছে। এই প্রস্তাব এরপর যাবে অর্থদপ্তরে। অবশেষে রাজ্যের সম্মতি মিললে তা ফেরত আসবে রেলের কাছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য নেবে রেলমন্ত্রক।