শিয়ালদহ থেকে বৌবাজার মেট্রোয় ছাড়পত্র দিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএস। ফলে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত এ বার টানা মেট্রো চলাচলে আর কোনও বাধা রইল না। নিরবচ্ছিন্ন মেট্রো চলার ছাড়পত্র দিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। এখন হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ অবধি মেট্রো চলছে। এ বার বৌবাজার রুটে মেট্রো যাতায়াত শুরু হলে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড-বৌবাবাজার-শিয়ালদহ হয়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অবধি মেট্রো চলাচল করবে। ফলে পাতালপথে কলকাতার সঙ্গে বিধাননগর। সিআরএসের ছাড়পত্র পাওয়ার সময় এখন শুধু দিন ঘোষণার অপেক্ষা। যে কোনও একটা ‘শুভক্ষণ’ দেখে পরিষেবা চালু করে দিলেই হলো।
আর তার পরই হাওড়া ময়দান থেকে ১২ মিনিটে যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন শিয়ালদহ। আর ২৫ মিনিটে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। কোনও যানজট নেই, ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা নেই, নেই গরমের ভোগান্তি।
এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার পথ কলকাতা মেট্রোর গ্রিন লাইনের রেক চলার উপযুক্ত কি না, দু দিন আগেই তা চাক্ষুষ করতে এসেছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির পূর্ব ভারতের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমিত সিংহল। সুড়ঙ্গ পথের নিরাপত্তা থেকে ভেন্টিলেশন সিস্টেম, পাতালপথের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, কখনও ট্রলিতে, কখনও রেকে মোটরম্যানের কেবিনে বসে সব কিছু সব কিছুই খতিয়ে দেখেন তিনি। সে দিনই সবুজ সঙ্কেত দিয়ে গিয়েছিলেন। বুধবার এল চূড়ান্ত সিলমোহরের খবর।
২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট থেকে অন্তত চার বার সুড়ঙ্গ বিপর্যয়েই থমকে গিয়েছিল এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহে মেট্রোপথের কাজ। কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি কর্তৃপক্ষকে। কারও কারও মনে হয়েছিল, এসপ্ল্যানেড বোধহয় আর মেট্রোপথে শিয়ালদহের সঙ্গে জুড়ল না! কিন্তু বুধবারের খবরে স্বস্তি কলকাতা মেট্রোর কর্তাদেরও। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এখন শুধু ফিতে কেটে পরিষেবা চালু করলেই হলো। সে সিদ্ধান্ত রেল বোর্ডই নেবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।