• নির্জন জঙ্গলে পাখির ডাক, দূরে বরফের হাতছানি, গরমে যেতে পারেন শান্ত নিরিবিলি এই গ্রামে ...
    আজকাল | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এককথায় জায়গাটা হল একটি ছোট্ট নির্জন পাহাড়ি গ্রাম।‌ দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহকুমার এই গ্রামের নাম চটকপুর।‌ জায়গাটা সেঞ্চল ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারির মধ্যে। প্রধানত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্যই এই চটকপুর বিখ্যাত। পর্যটকদের কাছে 'অফবিট' হিসেবে পরিচিত এই জায়গায় লোকবসতিও কম। অল্প কয়েকটি পরিবার এখানে থাকে। 

    গোটা এলাকার চারপাশে পাইন, বার্চ ও জুনিপার গাছের ঘন জঙ্গল।‌ আকাশ পরিষ্কার থাকলে চোখের সামনে ফুটে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং হিমালয়ের অন্যান্য পর্বতমালার শৃঙ্গ। ইতিমধ্যেই জায়গাটা পেয়েছে 'ইকো ফ্রেন্ডলি' গ্রামের তকমা। স্থানীয়দের মূল জীবিকা পর্যটন শিল্প। সেজন্যই গড়ে উঠেছে একাধিক হোমস্টে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ছাড়াও জঙ্গলে রয়েছে হরিণ, বনবিড়াল। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে দেখা মিলতে পারে কালো ভল্লুকেরও‌। বার্ড ওয়াচিং, সূর্যোদয় দেখা এবং জঙ্গলের পথে হাঁটা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। 

    কীভাবে যাওয়া যাবে চটকপুরে। জায়গাটা দার্জিলিং থেকে প্রায় ২৫ এবং শিলিগুড়ি থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে। শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। ভাড়া সাধারণত ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে। আবার বিকল্প পথ হিসেবে শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়িতে সোনাদা পর্যন্ত। সেখান থেকে চটকপুরের জন্য গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। 

    অনেকে পছন্দ করেন বনের ভেতর দিয়ে যেতে। সেক্ষেত্রে বনবিভাগের অনুমতি নিতে হবে। সাধারণত চটকপুরে জনপ্রতি থাকা ও খাওয়ার খরচ ১২০০-১৫০০ টাকা। এখানকার খাবারের একটা বিশেষত্ব হল এখানকার জৈব শাকসবজি অতিথিদের খাওয়ানো হয়। এছাড়াও সাধারণ খাবার যেমন ভাত, ডাল বা মুরগির মাংস দিয়েও অতিথি আপ্যায়ন করেন হোমস্টের মালিকরা।
  • Link to this news (আজকাল)