উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে SSC চেয়ারম্যানকে ‘ডেডলাইন’ দিল কোর্ট
প্রতিদিন | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
গোবিন্দ রায়: ফের আদালতে ভর্ৎসনার মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান! কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্ন, কেন এখনও ২০১৬ সালের আপার প্রাইমারি বা উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ শেষ হয়নি? আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শেষ করার নির্দেশ। বিচারপতিদের নির্দেশ, “শিক্ষামন্ত্রী হোক বা রাজ্যের যে কেউ, কাকে বললে সমস্যা মিটবে, খুঁজে বের করে সমাধান করুন।”
২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জনের নিয়োগ নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৮২ জন প্রার্থীর কাউন্সিলিং করিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করিয়েছে এসএসসি। ১ হাজার ৪৮২ জনের নিয়োগ এখনও বাকি। যা নিয়ে হাই কোর্টে নতুন করে মামলা হয়। সেই সময়ই ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, চার সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলিং শেষ করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা হয়। এসএসসির যুক্তি, শূন্যপদ অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীর অনুপাত মিলছে না। অর্থাৎ কোথাও যদি কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য় দু’জন শিক্ষকের প্রয়োজন হয় সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা হয়তো ১০। ফলে নিয়োগের অনুপাত মিলছে না।
এসএসসির তরফে আদালতে জানানো হয়, “আমার কিছু করা সম্ভব নয়। ১ হাজার ৪৬৩ জনকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শূন্যপদের সঙ্গে তা মেলেনি। রিভিউ অসম্ভব। শীর্ষ আদালতে মামলা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজে নতুন পোস্ট করতে পারে না।” তাঁদের আরও দাবি, “লজিস্টিক সমস্যায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘেরাওয়ের জন্য সমস্যা হচ্ছে। ১৫ দিনের মধ্যে হবে।” এসএসসির যুক্তিতে আদালতের বরফ গলেনি। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আমরা সমাধান করতে চাই। এটা রুটি রুজির বিষয়। এরা সাফার করছে। গঙ্গা দিয়ে অনেক জলের বয়ে যাওয়ার পর বলছেন বুঝিনি!” বিচারপতিদের সাফ নির্দেশ, “চেয়ারম্যানকে বাড়িতে বসে ভাবতে বলুন, উনি ডিভিশন বেঞ্চের অবমাননার মুখে। শিক্ষামন্ত্রী হোক, রাজ্য হোক যার থেকে হোক জিজ্ঞেস করুন, কী করবেন। ১৬ তারিখের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন।”