ঠিক কী লিখেছেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী? তিনি লেখেন, “আমি একজন দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি হিসাবে। এমনিতে আমার কাছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা সব সমান। পুরীতে আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরে যাইনি। সমুদ্র দেখে, সমুদ্র স্নান করে ফিরে এসেছি। কিন্তু কাল দিঘায় মন্দির দেখতেই যাচ্ছি। সমুদ্র স্নান তারপর হবে।” এরপরই চৈতন্যদেবের প্রসঙ্গ টেনে লিখলেন, “প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর আগে চৈতন্যদেব নিম্নবর্ণের মানুষকে নিয়ে বৈষ্ণবধর্ম আন্দোলন করেছিলেন। সেই আক্রোশে তাকে পুরীর পাণ্ডারা হত্যা করেছিল। পরবর্তী সময়ে গান্ধীজি ও পুরীর মন্দিরে দলিতদের প্রবেশ অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। দলিতদের প্রবেশ অধিকার দিতে পারেননি।” দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি হিসাবেই আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিধায়ক। আর সেই কারণেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। লিখলেন, “একজন দলিত মানুষকে এমন সুযোগ আর সম্মান দেবার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রণাম।”