আগামী মাসেই কলকাতার চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি, আসছে রসিকবিলের ঘড়িয়াল
প্রতিদিন | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
বিক্রম রায়, কোচবিহার: রসিকবিলের মিনি জু-তে ঘড়িয়ালের ডিম থেকে ফোটানো ৪৪টি বাচ্চার মধ্যে ছ’টি এবার কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে মে মাসের শুরুতে ছ’টি ঘড়িয়ালের বাচ্চা সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। অপরদিকে দু’জোড়া ম্যাকাও এবং একজোড়া ফিশিং ক্যাট, চাইনিজ প্যাঙ্গোলিন এখানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা বনদপ্তরে রয়েছে।
বনদপ্তরের কোচবিহারের এনডিএফও বিজন নাথ জানিয়েছেন, দু’বছর আগে ঘড়িয়ালের ডিমকে ইনকিউবেটরে রেখে পরীক্ষামূলকভাবে ফোটানো হয়েছিল। তাতে ঘড়িয়ালের ৪৪টি বাচ্চা ডিম ফুটে বেরিয়েছিল। ইতিমধ্যে তাদের বয়স প্রায় দু’বছর হয়েছে। এবার তাদের মধ্যে ছ’টি ছোট্ট ঘড়িয়াল কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে যাওয়া হলেও ৩৮টি ছোট্ট ঘড়িয়াল এবং ১১টি পূর্ণবয়স্ক ঘড়িয়াল এখনও এখানে থাকছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রসিকবিল থেকে গত বছর ভালো পরিমাণ আয় করেছিল বনদপ্তর। পর্যটকদের সংখ্যাও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি সংখ্যাযক পর্যটক টানতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারজন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। জলজ পাখিদের জন্য একটি আলাদা খাঁচা তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। সেটা তৈরি হয়ে গেলে আকর্ষণ আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বনকর্তারা। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাইথন রাখার এবং তাদের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। ফিশিং ক্যাট নিয়ে আসার আগে তাদের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। পুরনো পাখির খাঁচাগুলো সংস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং তার জন্য কাজ চলছে। বিশেষভাবে সেখানে থাকা চিতাবাঘগুলি নজর কাড়ে পর্যটকদের। কাজেই তাদের খাবার দেওয়ার জন্য এবং গরমে যাতে কোনও ধরনের সমস্যার মুখে তারা না পড়ে, তারজন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই তাদের খাওয়া-দাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।