• ‘আমাদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন SSC চেয়ারম্যান’, জানালেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা
    প্রতিদিন | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • রমেন দাস: আমাদের সব দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান। বেশ কিছু অংশে আমাদের সঙ্গে সহমতও হয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা।

    মঙ্গলবার এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকিদের ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদিন বিকেল চারটের সময়ে বিকাশ ভবনে শুরু হয় বৈঠক। সূত্রের খবর, প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠকটি। বৈঠক শেষে চাকরিহারা এক শিক্ষক বিপ্লব বিভাস বলেন, “আমরা আমাদের দাবিগুলি লিখিত আকারে আজ এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরেছি। তিনি সবটা শুনে বেশ কিছু অংশে আমাদের সঙ্গে সহমতও হয়েছেন।” বিপ্লব আরও বলেন, “এসএসসি চেয়ারম্যান আমাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আইনজীবীরা বিষয়গুলি দেখবেন।”

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকবে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের। মিলবে বেতনও। এরপরই তাঁদের একটি তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকাটি ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিভিন্ন ডিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরাই ‘অযোগ্য’ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এঁরা আর কাজ করতে পারবেন না। ফেরত দিতে হবে এতদিনের বেতনও। তাতেই আপত্তি জানিয়ে এসএসসি ভবনের সামনে ধরনায় বসেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা। আর আজ তাঁরাই এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করলেন।    

    প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে সোমবার কালীঘাট অভিযানের ডাক দেন এই ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা। বেলা সাড়ে বারোটায় কিছু সময় পরই এসএসসি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল। কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রথমে হাজরা মোড়। সেখান থেকে কালীঘাটে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিছিল হাজরা মোড়ে পৌঁছতেই, ব্যারিকেট দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা। ব্যারিকেট ভেঙে তাঁরা এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে তাঁদের। এরপরই বিক্ষোভকারীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর বাড়ির সামনেও ধরনা দেন। তবে পুলিশের অনুরোধে কিছুক্ষণ পরই তাঁরা অবস্থান প্রত্যাহার করে নেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)