• ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দিয়ে কনস্টেবলে চাকরি, ১৬ জনের নামে FIR লালবাজারের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশে শতাধিক কনস্টেবল চাকরি পেয়েছেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় বড় পদক্ষেপ করল লালবাজার। তদন্তে ১৬টি শংসাপত্র শনাক্ত করেছে লালবাজার। যেগুলি ভুয়ো বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তারপরেই ১৬ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে লালবাজার।


    তদন্তকারীদের অনুমান, এক্ষেত্রে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। কারা এই ভুয়ো শংসাপত্র সরবরাহ করেছিল এবং কতজন ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন এবার তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে লালবাজার। গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেন। এর আগে ওই সালে চাকরি পাওয়া কনস্টেবলদের কাছ থেকে নথি তলব করা হয়েছিল। পরে সেই নথি যাচাই করার জন্য জেলা প্রশাসনগুলির সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। জেলা থেকে এই সব নথি খতিয়ে দেখে সন্দেহ বাড়ে গোয়েন্দাদের। ফের সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া সংশ্লিষ্ট দফতরে। সেখানে ১৬টি সার্টিফিকেট নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইস্যু করেনি বলে জানানো হয়। সেই রিপোর্টার পরেই গত ২৬ এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়ে এই শংসাপত্রগুলি ইস্যু করা হয়েছিল। বাকি শংসাপত্রগুলি যাচাইয়ের কাজ চলছে।

    লালবাজার সূত্রের খবর, যে ১৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তারমধ্যে অধিকাংশ হলেন কলকাতার বাসিন্দা। এছাড়াও, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা আছেন কয়েকজন। তদন্তকারীদের ধারণা এর পিছনে বড়সড় চক্র রয়েছে। এখন এই চক্রের পান্ডাদের বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

    উল্লেখ্য, ২০১২ সালে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। তাদের অভিযোগ, ২০১২ সালে ভুয়ো তফসিলি শংসাপত্র জমা দিয়ে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলে চাকরি পেয়েছেন শতাধিক। শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে পুরসভা ও আরও বিষয়ে রাজ্যে সম্প্রতি একের পর এক দুর্নীতির মধ্যেই এমন অভিযোগকে কেন্দ্র অস্বস্তিতে পড়ে সরকার। এরপরেই তৎপরতার সঙ্গে সেন্ট্রাল রিজার্ভ অফিসের তরফে ওই বছর যারা তফসিলি জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের নথিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। এই সমস্ত নথি তাঁদের লালবাজারের জমা দিতে বলা হয়েছিল। এরপরেই ওই বছর জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া কনস্টেবলরা নিজেদের নথি লালবাজারে জমা দেন। সেই সমস্ত নথি তালিকা ধরে খতিয়ে দেখে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় লালবাজার। আর তারপরেই এই পদক্ষেপ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)