• দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম দিনেই ‘ডবল ছক্কা’ পুরোহিত ভবতোষের
    এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার খুলতে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। কিন্তু দ্বারোঘাটনের আগেই ভিড় উপচে পড়ছে দিঘা জগন্নাথধামের বাইরে। মন্দির উদ্বোধনের আগেই বাইরে দর্শন-সেলফির ভিড়। অনেকে রামমন্দির থেকে কুম্ভ মেলার উন্মাদনার সঙ্গে তুলনা টানছেন। অনেকে আবার কুম্ভ মেলা থেকেই রোজগারের আইডিয়া নিয়ে জমিয়ে নিয়েছেন ব্যবসাও। যেমন কুম্ভ মেলায় তিলক কেটে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনের খবর শোনা গিয়েছিল, তেমনই জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের আগের দিন দিঘাতেও এমনই উদাহরণ দেখা গেল।

    দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে উপস্থিত ভক্তদের কপালে তিলক কেটে ডবল ছক্কা মারলেন রামনগর ব্লকের দক্ষিণ বাসুলিপাটের পুরোহিত ভবতোষ পাহাড়ি। নিজের বাড়িতেও রয়েছে জগন্নাথদেবের মন্দির। নিজের বাড়ির জগন্নাথের পাশাপাশি দিঘায় নব নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারে ভক্তদের তিলক কেটেও আশীর্বাদ করছেন ভবতোষবাবু।

    মঙ্গলে মহাযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের প্রারম্ভিক সূচনা ঘটে। বিকেলের পর থেকে দিঘার জগন্নাথ গেটের সামনে ভিড় জমান মানুষজন। তাদের মঙ্গল কামনার্থে জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদী তিলক কেটে দিচ্ছেন। কেউ এক টাকা আবার কেউ পাঁচ টাকা দিচ্ছেন। প্রথম দিনেই ২ ঘণ্টায় প্রায় ১২০০ টাকা উপার্জন হয় বলে জানান ভবতোষবাবু। তীর্থস্থান গুলিতে পুরোহিতরা ভক্তদের মঙ্গল কামনায় তিলক কেটে থাকেন। এমন ছবি পুরী, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট-সহ অন্যান্য তীর্থস্থানে দেখা মেলে। এ বার দিঘার জগন্নাথ ধামেও উদ্বোধনের আগের দিন থেকে সেই ছবি দেখা গেল।

    ভবতোষবাবু জানান, ‘মনে প্রাণে জগন্নাথদেবের সেবা করে থাকি। তাঁর আশীর্বাদ সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘ দিন ধরে পূজার্চনা করে আসছি। এবার জগন্নাথ ধামে ভক্তদের কাছে জগন্নাথের আশীর্বাদ তুলে ধরতে তিলক কাটার কাজ করছি।’ প্রথম দিন ভক্তদের প্রণামী কম হলেও আগামী দিনে তা বাড়বে বলে আশা ভবতোষবাবুর। উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাড়ির জগন্নাথদেবকে আর সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। উদ্বোধনের আগে ভবতোষবাবুকে একা দেখা গেলেও আগামিদিনে আরও অনেক পুরোহিতকে দেখা যাবে জগন্নাথ ধামের সামনে যারা ভক্তদের তিলক কেটে জগন্নাথের আশীর্বাদ পৌঁছে দেবে সঙ্গে পকেটেও আসবে এক-দু পয়সা।

  • Link to this news (এই সময়)