• মাথাভাঙা-১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্রুত ইন্ডোর পরিষেবা চালু করার দাবি
    বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইন্ডোর পরিষেবা চালু হয়নি এখনও। প্রায় সাত বছর আগে মাথাভাঙা-১ ব্লকের গোপালপুরে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগে চিকিৎসা চালু হলেও, ইন্ডোর পরিষেবা চালুর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে বাউন্ডারি ওয়ালের কাজও অসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। একজন চিকিৎসক সপ্তাহে দু’দিন আউটডোরে বসছেন। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এধরনের পরিষেবায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। 

    অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে এই হাসপাতালে ইন্ডোর পরিষেবা চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রত্যন্ত এলাকা গোপালপুরে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। সাতবছর আগে আউটডোর পরিষেবা চালু করা হয়েছিল, তার পর আর কাজ এগয়নি। সন্ধ্যা হলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর সমাজবিরোধীদের দখলে চলে যায়। এসবও দেখার কেউ নেই। প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে এখনও রাতবিরেতে রোগী নিয়ে ছুটতে হয় বাসিন্দাদের। দ্রুত ইন্ডোর পরিষেবা চালুর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

    মাথাভাঙা-১ ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল না। ফলে ব্লকের গোপালপুর, কেদারহাট, নয়ারহাট, বৈরাগিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজার হাজার মানুষকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসতে হয়। রাত বিরেতে চরম সমস্যায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ আট বছর আগেই সম্পন্ন হয়েছে। ভবনের কাজ হলেও বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য আবাসন তৈরির কাজ করার কথা বলা হলেও, এখনও তা হয়নি। তৎকালীন শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন ও মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এতদিন পরও ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও উন্নতি হয়নি। 

    স্থানীয় বাসিন্দা সুখেন বর্মন, বিপ্লব সরকার বলেন, অনেক প্রত্যাশা ছিল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হওয়ায়। কিন্তু আউটডোর পরিষেবা ছাড়া কোনও চিকিৎসার সুবিধাই পাচ্ছি না আমরা। গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডোর পরিষেবা চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার পরও কাজ এগয়নি।

    এব্যাপারে মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিএমওএইচ জয়ন্ত দেব বলেন, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো অসম্পূর্ণ রয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসক সমস্যা থাকায় পরিষেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে। নতুন করে নিয়োগ হলে সমস্যা কিছুটা মিটবে। শীতলকুচির প্রাক্তন বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, গোপালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার চেষ্টা চলছে। আমরাও যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। 

    - ফাইল চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)