কৌশল বদলে টোটোর মাধ্যমে পাচার, কোচবিহারে চলছে অবাধে বালি লুট
বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: বালি চুরি রুখতে অভিযান চালাচ্ছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। তোর্সা, কালজানি, মানসাই, ধারলা সহ বিভিন্ন ছোট বড় নদী থেকে বালি চুরিতে হ্রাস টানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বালি চুরির কৌশল বদলে ফেলেছে পাচারকারীরা। যার জেরে চুরি ঠেকাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনকে। যদিও প্রশাসনের দাবি, নতুন কৌশলও বানচাল করে দেওয়া হবে।
রাতের অন্ধকারে, কখনও দিনে অবৈধভাবে নদী থেকে ডাম্পার, ট্রাক্টরের ট্রলিতে ভরে বালি পাচার করা চলে। এখন নতুন কৌশল মতো আগেই সারি সারি বস্তায় নদী থেকে বালি তুলে বস্তায় ভরে রাখা হচ্ছে। দলবেঁধে পুরুষ এবং মহিলারা নদী থেকে বালি তুলছে। এরপর ভোরের আলো ফোটার আগে ওই বস্তাগুলি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নদীবক্ষে হাজির হয়ে যাচ্ছে টোটো, ভুটভুটিগুলি। সকাল ১০টা পর্যন্ত এভাবেই নতুন কৌশলে প্রকাশ্যেই নদীর বালি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে থাকা তোর্সা নদী থেকেও একইভাবে ওই বালি চুরির করবার চলছে। ফলে রাজস্বের ঘাটতি হচ্ছে সরকারের। প্রকাশ্যেই নতুন কায়দায় তোর্সা থেকে বালি চুরি হলেও প্রশাসনের সেদিকে নজর নেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ, সকালে তোর্সা সেতুতে দাঁড়ালেই চোখে পড়ছে সেই চিত্র। অথচ প্রশাসনের লোকজন সেকথা জানে না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অবিলম্বে নদী বক্ষ থেকে অবাধে বালি চুরি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।
এবিষয়ে কোচবিহারের জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের হিমাদ্রী সরকার বলেন, এটা কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না। আমারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। ওই অভিযান গুলিতে টোটো, ভুটভুটি আটক করা হচ্ছে। সেগুলি বাজেয়াপ্তও করা হচ্ছে। লাগাতার অভিযান চালানো হবে।