• বাঁকুড়ার মেডিক্যাল কলেজে আসছে রেডিও থেরাপি মেশিন
    বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: দ্রুত জার্মানি থেকে রেডিও থেরাপির মেশিন সরবরাহের ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রেডিও থেরাপির অত্যাধুনিক মেশিন কেনার জন্য তিন কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা নিয়ে কার্যত ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিল জার্মানির একটি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থা। মাঝে বেশ কিছুদিন তাদের সঙ্গে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ফের ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে কেমোথেরাপির আধুনিক মেশিন কেনার জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই টাকা জার্মানির ওই সংস্থাকে দেওয়া হয়। ওই সংস্থা টালবাহানা করে বেশ কয়েক মাস সময় কাটিয়ে দিয়েছে। মাঝে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তখন পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে লিখিতভাবে জানানো হয়। ফের ই-মেল মারফত ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। দ্রুত মেশিন পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। 

    এদিকে রেডিও থেরাপি না পেয়ে রোগীদেরও সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে ক্যান্সার আক্রান্তদের রেডিও থেরাপি নেওয়ার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অথবা কলকাতায় যেতে হচ্ছে। ফলে রোগীর পাশাপাশি আত্মীয়-পরিজনদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেডিও থেরাপির ওই মেশিন এসে গেলে রোগীদের ও তাঁদের পরিজনদের হয়রানি পোহাতে হতো না। বাঁকুড়ার বাসিন্দা অবিনাশ ভট্টাচার্য, সোমা দাস বলেন, আমাদের আত্মীয়দের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেডিও থেরাপির ব্যবস্থা হলে ভালোই হয়। সেক্ষেত্রে আর অন্য জেলায় যেতে হবে না। জেলাবাসীর অনেক সুবিধা হবে।  অন্যদিকে, মেশিন ডেলিভারি দেওয়ার আগে বিদেশি ওই সংস্থাকে অগ্রিম হিসাবে পুরো টাকাই দিয়ে দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশিরভাগ প্রকল্পের ক্ষেত্রেই কাজ হওয়ার পর টাকা মেটানো হয়। কিন্তু লিফ্‌ট বসানো বা রেডিও থেরাপি মেশিন মতো কেনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবন আগাম টাকা দেয়। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের নামেই টাকা বরাদ্দ হয়। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংস্থার চুক্তি হয়। সেই কারণে জার্মানির ওই সংস্থাকে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্সার বিভাগের উপর বহু রোগী নির্ভর করেন। ওই বিভাগে 

    বর্তমানে কেমোথেরাপি চালু রয়েছে। সেখানে দৈনিক গড়ে ১৫-২০ জন রোগী ওই পরিষেবা পান। রেডিও থেরাপি চালু হলেও ওই রকমই রোগী হবে। এমনকী, ক্যান্সার আক্রান্তদের অনেকেরই কোমোর পাশাপাশি রেডিও থেরাপির প্রয়োজন পড়ে। বাঁকুড়া মেডিক্যালে কেমো নেওয়ার পর সেই সব রোগীদের অন্য জেলায় যেতে হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)