• সামনেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, করণিকের চাকরি না থাকায় বিপাকে কাঁকসার স্কুল
    বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানকর: সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের বিদ্যালয়ে আসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সমস্যায় পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কাঁকসা এলাকার ত্রিলোকচন্দ্রপুর জরিলাল স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে একমাত্র করণিকের চাকরি চলে গিয়েছে। এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ে ক্লার্ক ও গ্রুপ ডি কর্মী নেই। প্রধান শিক্ষক সুজন সোম বলেন, মাধ্যমিক রেজাল্ট দিতে গিয়ে সমস্যা হবে। রেজাল্ট দেওয়া, রেকর্ড রাখা, অনলাইনে আপলোড করা সহ একাধিক কাজ থাকে। পড়ুয়ারা অনেকেই একদিনে রেজাল্ট নেয় না। পাশাপাশি রেজাল্ট বের হলেই বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণির জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের সব সময়ের জন্য ক্লার্কের কাজ করতে হচ্ছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী না থাকায় বিদ্যালয়ের গেট খোলা, ঘণ্টা দেওয়া-সহ যাবতীয় কাজ সামাল দিতে সমস্যা হচ্ছে। কাঁকসার অযোধ্যা হাইস্কুলে দুজন গ্রুপ-সি পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের চাকরি চলে যাওয়ায় স্কুল সমস্যায় পড়েছে। বিদ্যালয়ে এই মুহুর্তে পড়ুয়া সংখ্যা ৯৭৬ জন। বিদ্যালয়ের পক্ষে দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, মাধ্যমিক রেজাল্ট দিতে গিয়ে অসুবিধা হবে। শিক্ষকদের নিয়েই কাজগুলি করতে হবে। 

    এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী- এই সরকারি প্রকল্পে পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত করা এবং প্রকল্পের সুবিধা পড়ুয়ারা যথাযথ পাচ্ছে কি না তা প্রাথমিকভাবে ক্লার্করা দেখেন। সমস্যা হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানান। ফলে সারা বছরই চাপ থাকে ক্লার্কদের। স্কুলের আয়-ব্যয় ও মিড ডে মিলের হিসাব রাখা, পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন পরীক্ষার ফল রেজিস্টারে লিখে রাখার কাজও করতে হয় তাঁদের। উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকার বিষয়টিও দেখতে হয়। আর কিছুদিন পরেই সেই টাকা দেওয়া দেওয়ার কাজ শুরু হবে। বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি কর্মীরা ট্যাবের টাকার জন্য পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত করেন। কিন্তু কাঁকসা গার্লস স্কুলের ক্লার্কের পদ ২০২০ সাল থেকে ফাঁকা। গ্রুপ ডি দুজন কর্মী সেই ঘাটতি মেটাচ্ছিলেন। কিন্তু দুজনেরই চাকরি চলে গিয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাল বলেন, দীর্ঘদিন ক্লার্কের পদ ফাঁকা। ওনারা সেই কাজ করছিলেন। কিন্তু ওনারা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষাকর্মী না থাকায় স্কুলগুলি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে না বলে মত অভিভাবকদের একাংশের।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)