ঘাটালে ইড়পালা কৃষ্ণমোহন ইনস্টিটিউশনে বসল বিদ্যাসাগর ও নেতাজির আবক্ষ মূর্তি
বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, ঘাটাল: ১২৫ বছরের পুরনো হলেও স্কুলে কোনও মনীষীর মূর্তি ছিল না। অবশেষে সোমবার ঘাটাল মহকুমার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইড়পালা কৃষ্ণমোহন ইনস্টিটিউশনে দুই মনীষীর মূর্তি বসল। বিদ্যালয়ের টিআইসি বিনয়কুমার রায়চৌধুরী বলেন, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মর্মর মূর্তি বসানো হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে এলাকার বাসিন্দা, অভিভাবক, প্রাক্তনী ও পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অশোক গায়েন, মনমোহন চক্রবর্তী এবং শ্রীকান্ত পাল মিলে বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি দান করেছেন। বিদ্যালয়ের টিআইসি ও এক প্রাক্তনী মনসারাম পাল যৌথভাবে নেতাজি মূর্তি তৈরির খরচ দিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি মনমোহন চক্রবর্তী বলেন, মূর্তি দু’টির বেদি তৈরির খরচ স্কুলের তরফেই বহন করা হয়েছে। সোমবার মূর্তির আবরণ উন্মোচনে ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী সর্দার, সহ-সভাপতি বিকাশ কর সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ে ৭০০’র বেশি ছাত্রছাত্রী এবং ১৭জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। বিনয়বাবু বলেন, আমাদের বিদ্যালয় চত্বরে এর আগে যেমন মনীষীদের কোনও মূর্তি ছিল না, তেমনই এতদিন দেওয়াল পত্রিকাও বের করা হয়নি। সোমবার আমাদের দেওয়াল পত্রিকা ‘চরৈবেতী’ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ২০জনের লেখা রয়েছে।
মূর্তির আবরণ উন্মোচনের পর সোমবারই বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। বিদ্যালয়ের স্পোর্টসের ৩৬টি ইভেন্টের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিদ্যালয়ের ২০জন ছাত্রছাত্রীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়।
বিনয়বাবু বলেন, আগামী দিনে একটি বড় মাপের মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠান হবে। আমাদের বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র অসিতবরণ রায় এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তিনি স্টুডেন্ট এডুকেশন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে বিদ্যালয়কে ১৫লক্ষ টাকা দিয়েছেন। ওই টাকার সুদ থেকে মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সাতহাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। আমরা আশাবাদী, এই উদ্যোগ বিদ্যালয়ের মেধাবী পড়ুয়াদের আরও উৎসাহিত করবে।