শ্মশান থেকে ফেরার পথে অটোর সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত ১, আহত ৪, ভাঙচুর ক্ষিপ্ত জনতার
বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: শ্মশান থেকে ফেরার পথে অটোর সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রী ভর্তি ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দশ বছরের বালিকার। আহত আরও চারজন। মৃতের নাম অন্বেষা মণ্ডল (১০)। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে বারুইপুর-আমতলা রোডের অর্জুনতলায়। আহত চারজনকে স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বারইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বারুইপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। উত্তেজিত বাসিন্দারা বেপরোয়া ডাম্পার চলাচলের প্রতিবাদে দু’টি ডাম্পার ভাঙচুর করেন। রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুলিস অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের পীরখালির বাসিন্দা বাসুদেব মণ্ডলের এক আত্মীয় মারা যান। সেই কারণে তাঁর পরিবার ও পাড়ার লোকজন এদিন বারুইপুরের জোড়ামন্দির শ্মশানে আসে দাহ কাজের জন্য। দাহ সেরে অটো করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। আমতলা থেকে ডাম্পার বারুইপুরের দিকে আসছিল দ্রুত গতিতে। অটোর সামনে ধাক্কা মারে সেই ডাম্পার। অটো চালাচ্ছিলেন বাসুদেববাবু। গাড়িতে ছিল তাঁর বড় মেয়ে তিয়াসা, ছোট মেয়ে অন্বেষা। স্ত্রী মীনা এবং এক আত্মীয় শিবু মাকাল। তিয়াসা কলেজ পড়ুয়া। অন্বেষা বিষ্ণুপুরের খোলসেমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ৫ জনেরই মাথায় ও হাত, পায়ে চোট লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই রাস্তায় স্কুল ছুটির সময় বেপরোয়া গতিতে প্রতিদিন ডাম্পার চলাচল করে। পাশাপাশি বড় লরি, ট্রাক চলাচল করে। এতে পুলিসের কোনও নজরদারি নেই। অবিলম্বে এই রাস্তায় ডাম্পার চলাচল বন্ধ করতে হবে পুলিসকে।
অন্যদিকে, বাসের দরজায় ঝুলতে ঝুলতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। হঠাৎই বাসের ঝাঁকুনিতে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। চাকায় পিষ্ট হন। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার চণ্ডীপুরের কাছে বাসন্তী রাজ্য সড়কে। পুলিস জানিয়েছে, ২৬-২৭ বছর বয়সি মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। -নিজস্ব চিত্র