নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে পরিচয়। সেই সূত্র ধরেই বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। এরমধ্যেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে যুগলের। একদিন ‘হবু পাত্র’ হঠাৎই জরুরি প্রয়োজন তরুণীর দামি গাড়িটি ব্যবহার করতে চায়। বিশ্বাস করে গাড়ি দিলে তা নিয়ে চম্পট দেয় যুবক। তরুণী ভেবেছিলেন, অনলাইনের মেলা পাত্র বোধহয় ফিরবে। হয়তো কোথাও আটকে গিয়েছে। তার জন্য অপেক্ষাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু, গাড়িও আসেনি, পাত্রও আসেনি। পরে খোঁজ নিয়ে তরুণী জানতে পারেন, ওই ‘হবু পাত্র’ এই ধরনের নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত। গাড়ি ফেরত চাওয়ার জন্য ফোন করলে ওই যুবক রীতিমতো হুমকি দেয় তরুণীকে। তাই বাধ্য হয়ে তরুণী পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ‘হবু পাত্র’কে গ্রেপ্তার করেছে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিস। উদ্ধার হয়েছে তরুণীর গাড়িটিও।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম নিশাত আলি। বয়স ৩৫ বছর। বজবজের শ্যামপুর নারকেলডাঙায় তার বাড়ি। তরুণী নিউটাউনের একটি আবাসনে থাকেন। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে কয়েকমাস আগে নিশাতের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। তরুণীর বয়সও ৩৫ বছর। প্রাথমিকভাবে বিয়ের জন্য দু’পক্ষ রাজি ছিল। সেই সুবাদে তরুণীর সঙ্গে নিশাত দেখাও করত। ক্রমে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে নিশাত আচমকা তরুণীকে বলে, আমার জরুরি প্রয়োজন। তোমার গাড়িটা একবার দাও। বিশ্বাসের উপর ভর করেই তরুণী নিজের দামি গাড়ি তাকে দিয়ে দেন। ব্যাস, তারপর থেকেই নিশাত উধাও।
অনেকদিন কেটে গেলেও যুবক না আসায় তরুণী বুঝতে পারেন, বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। তারপর তিনি নিজে খোঁজখবর করেন। জানতে পারেন, যুবকের আচরণ স্বাভাবিক নয়। তারপরই তাকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়ির কাগজপত্র তরুণীর নামে রয়েছে। ফলে, ওই গাড়ি কোনও অপরাধে যুক্ত হলে তরুণী বিপদে পড়তে পারেন। তাই তিনি টেকনোসিটি থানায় গিয়ে পুরো বিষয়টি পুলিসকে জানান। পুলিস গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে। তারপরই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, তার হেফাজত থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে তার বিরুদ্ধে অপরাধের ইতিহাস আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।