ক্ষতিগ্রস্ত হুগলি নদীর পাড়ের ‘ব্রিক ম্যাট্রেস’, ফের ভাঙনের আতঙ্ক
বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া : আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। সেই আশঙ্কা সত্যি হল। উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগদীশপুরে হুগলি নদীর পাড়ে সেচ দপ্তরের দেওয়া ব্রিক ম্যাট্রেসের দুই জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরে নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বাড়ল আতঙ্ক। সেচদপ্তর ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে। তবে ভাঙন যেভাবে বাড়ছে তাতে সে কাজ কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
হুগলির পশ্চিম পাড়ের নদী ভাঙন এখন অন্যতম বড় সমস্যা উলুবেড়িয়ার। বছরখানেকের মধ্যে পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগদীশপুরে কয়েকশো মিটারের ব্যবধানে দু’টি জায়গায় বড়সড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকশো ফুট নদীর পাড় নদীগর্ভে চলে গিয়েছিল। ভাঙন প্রবণ এলাকায় ভাঙা ইটের টুকরো, বালি, মাটির বস্তা, বাঁশের খাঁচা ফেলার পাশাপাশি নদীর পাড়ের পিছন দিকে মাটি ফেলে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করেছিল সেচদপ্তর। একই সঙ্গে নদীর পাড়ে পলিথিন ও ব্রিক ম্যাট্রেস বিছিয়ে ভাঙন রোধের কাজ করেছিল। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই ব্রিক ম্যাট্রেসের দু’টি জায়গা বসে যায়। ফলে আতঙ্ক বেড়েছে নদীর পাড়ে থাকা বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভাঙন রোধে একাধিক পদক্ষেপ নিলেও বাস্তবে কোনওটাই স্থায়ী হচ্ছে না। প্রতিদিন নদীপথে বড় জাহাজ যাতায়াত করে। তার ঢেউয়ে পাড়ের ক্ষতি হয়। ভাঙন যেভাবে বাড়ছে তাতে কতদিন পাড় অটুট থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। যদিও সেচদপ্তরের কর্তাদের দাবি, আতঙ্কের কোন কারণ নেই। কোনও কারণে ব্রিক ম্যাট্রেসের ওই জায়গা দু’টি বসে গিয়েছে। পুনরায় মেরামত করা হবে। এই পদ্ধতিতেই মাটি ক্ষয় আটকানো সম্ভব।