• হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট ও লিলুয়ায় উদ্ধার দুই দেহ
    বর্তমান | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বারো ঘণ্টার ব্যবধানে হাওড়া শহরের দু’টি পৃথক জায়গায় বন্ধ ঘর থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। সোমবার রাতে চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্নেহাশিস দত্তগুপ্ত (৫৭) নামের এক প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ। অন্যদিকে, এদিন ভোর রাতে লিলুয়ায় একটি আবাসনের বন্ধ ঘরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয় অমিতা জেঠানিয়া (৪২) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার। দু’টি ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। দু’টি ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিস।

    চ্যাটার্জিহাটের তাঁতিপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির একতলায় একাই ভাড়া থাকতেন স্নেহাশিস দত্তগুপ্ত। অবিবাহিত ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে তাঁকে শেষবার এলাকায় দেখা গিয়েছিল। সোমবার বিকেল থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। ওইদিন রাত ১০টা নাগাদ বাড়ির মালিক চ্যাটার্জিহাট থানায় খবর দেন। পুলিস এসে দরজা ভেঙে প্রৌঢ়ের দেহটি উদ্ধার করে। ঘরের ভিতরে খাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরতে শুরু করেছিল। পুলিস জানিয়েছে, তাঁর আত্মীয়-স্বজন বলতে তেমন কেউ নেই। এর আগে তিনি কলকাতার সিঁথি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মাস কয়েক আগে হাওড়ায় চলে আসেন। 

    অন্যদিকে, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ লিলুয়া স্টেশন রোডের শান্তিনগর এলাকার একটি আবাসনের একতলার ফ্ল্যাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বন্ধ ঘরে দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয় অমিতা জেঠানিয়া নামের এক গুজরাতি মহিলার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার চিৎকার শুনে আবাসনের বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে দেখেন ঘরের ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বাসিন্দারাই প্রথমে জল ও বালি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আসে লিলুয়া থানার পুলিস ও দমকল। দমকলের একটি ইঞ্জিন কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ঘরেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।

    দমকলের দাবি, ঘরে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল না। আবাসনের বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ওই মহিলার বাবা-মা মারা যান। তারপর থেকে একাই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। পরে সেই কাজটি চলে যায়। ইদানীং মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। বাইরে থেকে কাগজ, প্লাস্টিক জোগাড় করে ঘরে এনে তাতে আগুন ধরিয়ে রান্নাবান্না করতেন তিনি। ভোর রাতে সম্ভবত রান্না করতে গিয়েই কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। তার জেরেই মৃত্যু হয় মহিলার।
  • Link to this news (বর্তমান)