এই সময়, রিষড়া: ভুলক্রমে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউয়ের সম্পর্কে খোঁজ নিতে হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কম্যান্ডিং অফিসারের (সিও) সঙ্গে দেখা করলেন তাঁর পরিবার।
পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ–সহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য পূর্ণমের সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পেতে হুগলির রিষড়ার বাড়ি থেকে রওনা হয়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে রজনী নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন। সেখানে হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় বিএসএফের গেস্ট হাউসের সামনে ছেলে আরব, দুই বোন ও এক ভাইকে নিয়ে রজনী বলেন, ‘আমরা কাংড়াতে বিএসএফের সিও–র সঙ্গে দেখা করে স্বামীর খোঁজ নেব। আমরা চাই, আমার স্বামী দ্রুত ঘরে ফিরে আসুন। আপনারা সবাই আমার স্বামীর জন্য প্রার্থনা করুন, ও যেন সুস্থ ভাবে আমাদের কাছে ফিরে আসে।’
তাঁর সংযোজন, ‘আমার আট বছরের ছেলে বারবার বাবার কথা জানতে চাইছে। আমি কোনও উত্তর দিতে পারছি না। কাশ্মীরের অশান্তি যদি বন্ধ না–হয়, তা হলে কি আমার স্বামী দেশে ফিরবে না?’ এ কথা বলার সময়ে কিঞ্চিৎ ক্ষোভের সুরও শোনা যায় রজনীর গলায়। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে চণ্ডীগড়ের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে রজনী অভিযোগ করেছিলেন, ‘আমার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে।’ এ দিনের ভিডিয়ো বার্তায় পূর্ণমের আট বছরের নাবালক ছেলে আরব সাউ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনার ভঙ্গিতে বলে, ‘পাকিস্তানে আটকে থাকা আমার বাবা দ্রুত ঘরে ফিরে আসুক।’
সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে রজনীরা চণ্ডীগড় পৌঁছন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সড়ক পথে রাতে হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় পৌঁছন তাঁরা। রাতে কাংড়ায় বিএসএফের গেস্ট হাউসে রাত্রিবাস করেন। এ দিন বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করার পরে আর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি পূর্ণমের পরিবার। রিষড়ার বাড়িতে এখনও ছেলের জন্য একরাশ উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন পূর্ণমের মা দেবন্তী ও বাবা ভোলানাথ সাউ।