অরূপ বসাক: গতকাল রাতে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার কলাবাড়ি চাবাগানে চিতাবাঘের আকস্মিক আক্রমণে তিনজন আহত হন। দুটি পৃথক ঘটনায় এই হামলা ঘটে চাবাগানের আট নম্বর সেকশনের রাস্তায়।
প্রথম ঘটনায়, এক চলন্ত বাইকে থাকা জামাই রাম রহমান আলী (৩৪) ও তার শাশুড়ি রহিমা খাতুন (৫০)-এর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। দ্বিতীয় ঘটনায়, চাবাগানের চৌকিদার রঞ্জিত ওড়াও-এর ওপর হামলা চালায় বাঘটি যখন তিনি ও তার বন্ধু সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
চৈতন ওড়াও বলেছেন, 'আমার জামাই যখন সাইকেলে চেপে যাচ্ছিল তখন চিতা বাঘ বাইকের পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন ওর কাছে লাঠি ছিল সেটা ছুঁড়ে মেরেছে।' আহত রহমান আলী জানিয়েছেন, 'আমি যখন বাইকে করে যাচ্ছিলাম, তখন চিতা বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার বাইকের ওপর। আমার বাইকের পেছনে বসেছিল আমার মা, মা বাইক থেকে পড়ে যায়। আমরা খোলাবাড়ি থেকে আসছিলাম, তখনই এমন ঘটনা ঘটে। আমরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, বাঘটা বাগানের মধ্যে ছিল। রাস্তার একদম পাশেই বাগান। আমি সাড়ে ৫টার সময় ব্যাঙ্ক থেকে ফিরছিলাম, কলাবাড়ির বাগান দিয়ে। চলন্ত বাইকের মধ্যেই বাঘ এমনভাবে হামলা করে যে আমার মা চলন্ত বাইক থেকেই পড়ে যায়। বাঘটা আমার আর মার মাঝঘানে লাফিয়ে ঢুকে গেছিল।'
আহত রহমান আলীর স্ত্রী বলেছেন, 'আমার স্বামীর সঙ্গে মা বাইকে গেছিল কলা বাগান দিয়ে বাড়ি ফিরছিল সে সময়ই বাঘ লাফিয়ে এসে আমার স্বামী আর মার ওপর হামলা করে। আমার স্বামীর বুকে লেগেছে, আমার মার পেটে লেগেছে অনেক জোর।'
আহতদের মধ্যে রহমান আলী ও রহিমা খাতুনের বাড়ি নাগরাকাটার ঘেরকাটা গ্রামে। রঞ্জিত ওড়াও কলাবাড়ির বাঁধ লাইন এলাকার বাসিন্দা।
আহতদের প্রথমে নাগরাকাটার শুলকাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে দুজনকে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ঘটনার পরই ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। স্থানীয়দের মধ্যে চিতাবাঘের আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে।