অর্ণব আইচ: বড়বাজারের মেছুয়া বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১৪। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনই দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সারারাতের চেষ্টাতেও সম্পূর্ণ আয়ত্তে আসেনি আগুন। এখনও পকেট ফায়ার রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক হোটেলের মালিক। তদন্তে সিট গঠন করছে পুলিশ। বর্তমানে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে দিঘায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই পরিস্থিতির খোঁজখবর নিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরুর চেষ্টা করেন কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, হোটেলে কমপক্ষে ৪৭ টি ঘর ছিল। অধিকাংশতেই ছিল না জানলা। ফলে ধোঁয়ায় বাড়ে বিপত্তি। একদিকে ভিতরে থাকা আবাসিকরা আটকে পড়েন। অন্যদিকে, দমকলকর্মীদের ভিতরে প্রবেশে হিমশিম দশা হয়। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে আতঙ্কে একজন কার্নিশ থেকে ঝাঁপিয়ে দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও কমপক্ষে ১৩ জনের। জখম ১২ জন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে ঘটনার খোঁজ নিয়েছেন। কমিশনার জানিয়েছন, হোটেল মালিক পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে। আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।