বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডে শোকপ্রকাশ মোদির, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য
প্রতিদিন | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়বাজারের মেছুয়া বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১৪। সেই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে এদিন মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। এছাড়াও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এই আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোনার পরেই উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দিঘা থেকে ফোনে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন লাগে। খবর পেয়েই দ্রুত পুলিশ ও দমকলকর্মীরা পৌঁছন। ঘিঞ্জি এলাকায় ওই হোটেল হওয়ায় প্রথম দিকে সমস্যায় পড়েছিলেন দমকলকর্মীরা। প্রতিকূলতার মধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। যদিও অনেক রাত পর্যন্ত সেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। পরে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ অন্যান্যরা।
আগুন লাগার পর এক হোটেলকর্মী প্রাণ বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। যদিও পরবর্তী সময়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। একে একে ১৪টি মৃতদেহ ওই অভিশপ্ত হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, একজন মহিলা আছেন। এছাড়াও একজন বালক ও বালিকা মারা গিয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত আটটি মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে। মৃতদেহগুলি আর জি কর হাসপাতাল, এন আর এস ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনায় শোকের ছায়া সব মহলে। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোকপ্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বাংলাতেই শোকবার্তা দিয়েছেন তিনি। টুইট বার্তায় লেখা হয়েছে, “কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।”
ঘটনার পর থেকেই পলাতক হোটেলের মালিক। তদন্তে সিট গঠন করছে কলকাতা পুলিশ। কীভাবে আগুন লাগল? আগুন নেভানোর জন্য কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল কি? সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।