• ২০০৮-এ নন্দরাম, ২০১৮-তে বাগরি, ২০২৫-এ মেছুয়া বাজার, বড়বাজারে এখনও কাটেনি অগ্নিকাণ্ডের আঁধার
    এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • গত বছর নভেম্বর মাসেই ‘পোস্তা মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্তা এবং বড়বাজার অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বিপদ এড়ানোর জন্য প্রশাসনের কড়া মনোভাবও স্পষ্ট করেছিলেন।

    কিন্তু, নন্দরাম, বাগরি মার্কেটের সেই ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল। মঙ্গলবার মেছুয়া বাজারে একটি হোটেলে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১৪ জনের। কিন্তু এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বড়বাজার বহুবার দেখেছে সর্বগ্রাসা আগুন। ২০০৮-এর ১২ জানুয়ারি, বড়বাজারের ১৩ তলা নন্দরাম মার্কেটে আগুন লাগে। টানা চারদিন ধরে জ্বলেছিল এই বাজার। প্রায় চার হাজার দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।

    ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে আগুন লাগে ক্যানিং স্ট্রিটের বাগরি মার্কেটে। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে জ্বলেছিল ওই বাজার। সেই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। কিন্তু কোটি কোটি টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    এ বার কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টিতে অগ্নিকাণ্ড। মৃত ১৪। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে নয়। অধিকাংশর মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ হয়ে। পুরো হোটেলটিই গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'হোটেলে অনেক গাফিলতি ছিল। কাচ ভেঙে দমকল কর্মীদের ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। ওদের কোনও সিস্টেম কাজ করেনি। যা যা পদক্ষেপ করার আমরা করব।'

    জানা গিয়েছে, আগুন লাগার পর হোটেলের বেশিরভাগ রুমের দরজা লক ছিল। অতিথিরা চেষ্টা করেও বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি। হোটেলের কর্মীরাও আতঙ্কে ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। Sই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • Link to this news (এই সময়)