এই সময়, খড়্গপুর: এ বারও স্কুলশিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়েই বেতন হবে বলে আশাবাদী শিক্ষা দপ্তর। সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে আপাতত স্থায়ী শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী এবং ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের বেতনের রিকুইজ়িশন পাঠানো সম্ভব হয়েছে ২৯ এপ্রিলের মধ্যেই। যা আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল ক’দিন আগেও। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরাও স্কুলে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। আজ অর্থাৎ বুধবার থেকেই স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গেল।
যোগ্য শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। যে যোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন, তার তালিকা পাঠায় শিক্ষা দপ্তর। সব কিছু খতিয়ে দেখার জন্য প্রত্যেক যোগ্য শিক্ষকের এসএসসি রেকমেন্ডেশন, পর্ষদের অ্যাপ্রুভ্যাল সমেত বিভিন্ন নথি চাওয়া হয়। তারই সঙ্গে স্যালারি পোর্টাল থেকে টেন্টেড এবং অশিক্ষক কর্মীদের নাম বাতিলের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছিল।
এত কিছু করতে গিয়ে আদৌ বেতনের রিকুইজ়িশন এই মাসের মধ্যেই পাঠানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। যদিও নারায়ণগড়ের শশিন্দা সাগরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর তিওয়ারি, শালবনি নীচমঞ্জুরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বাসবী ভাওয়াল, কেশিয়াড়ির নছিপুর আদিবাসী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন পড়্যারা বলেন, ‘সবারই বেতনের রিকুইজ়িশন পাঠানো সম্ভব হয়েছে। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলেও আসছেন।’
প্রধান শিক্ষকরা জানান, স্যলারি পোর্টাল থেকে চাকরি যাওয়া অশিক্ষক কর্মী ও টেন্টেডদের নাম বাদ গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপন সামন্ত বলেন, ‘বেতনের রিকুইজ়িশন পাঠাতে কোনও সমস্যা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়েই শিক্ষকদের বেতন হবে বলেই আশা করা যায়।’