চা বাগান বললেই চোখের সামনে ভেসে উঠে দার্জিলিংয়ের শোভা। শুধু দার্জিলিং নয়, উত্তরবঙ্গে পাহাড়ে বুকে কেটে ওঠা রাস্তার পাশেই ধাপে ধাপে চায়ের বাগান। কিন্তু এ বার চা বাগানের সৌন্দর্য দেখতে আর ছুটে যেতে হবে না উত্তরে। দক্ষিণেও নাকি এ বার দেখা মিলবে চা পাতার গাছের। হাওড়ায় শুরু হয়েছে এমনই অবাক করা কর্মকাণ্ড।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার শিবপুর আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু উদ্ভিদ উদ্যানের বিজ্ঞানীরা এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে বাগানের দেড় বিঘা জমিতে বসানো হয়েছে চা গাছের চারা। গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রির উল্টোদিকে এই চা বাগান হচ্ছে।এখানকার জমিকে ঢালু করা হয়েছে যাতে জল না দাঁড়ায়।প্রচন্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে বড় গাছের ছায়া ব্যবহার করা হবে।পাহাড়িয়া অঞ্চলের মতো মাটির চরিত্রও বদলানো হয়েছে।
গার্ডেনের অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিং বলেন, চা গাছের চারা বসিয়ে সেগুলো বাঁচানো কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল। ৭৫ শতাংশ গাছ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এ বার সেগুলো বড় হচ্ছে। পর্যটক ও ছাত্র ছাত্রীদের কাছে এই চা বাগান খুবই আকর্ষণীয় হবে। কারণ শিবপুরের এই উদ্যানের সঙ্গে চা গাছের ইতিহাসও জড়িয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে অধিকর্তা জানান, ১৮২৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে এই উদ্যানে চা গাছ বসিয়ে তা গবেষণা করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছিল। তার পর চা বাগান তৈরি হয়। তবে তখনকার পরিবেশ ও তাপমাত্রার সঙ্গে এখন অনেক তফাৎ। কিন্তু, তবুও সাফল্য এসেছে। আগামিদিনে এখানে এক টুকরো চা বাগান দেখতে পাবেন পর্যটকরা বলে আশা।