• ‘বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছবে জগন্নাথের প্রসাদ-ছবি’, ঘোষণা মমতার
    এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে জগন্নাথদেবের ছবি এবং প্রসাদ। বুধবার দিঘার মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের আগে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু রাজ্যে নয়, সারা দেশের বিশিষ্টদের কাছেও তা পৌঁছবে। এই কাজের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা।

    গত এক সপ্তাহ ধরেই অপেক্ষার প্রহর গোনা চলছিল। রঙবাহারি আলো আর ফুলের মালায় সেজে সেজে উঠেছিল গোটা দিঘা। একে একে আসতে শুরু করেছিলেন পর্যটকরা। হোটেল, গেস্ট হাউস ভর্তি। সবাই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন, বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী হতে চান। এদিন মমতা বলেন, ‘দ্বারোদঘাটনের পর অতিথিদের কয়েকটা গ্রুপে ভাগ করে মন্দির ঘুরিয়ে দেখানো হবে। তারপর খুলে দেওয়া হবে আমজনতার জন্য।’

    উপস্থিত অতিথিদের সামনে মন্দিরের ইতিহাস-ভূগোল বিস্তারিত তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মন্দিরের চূড়ায় ভগবান বিষ্ণুর অষ্টধাতুর চক্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রবেশের জন্য চার দিকে রয়েছে চার দ্বার। রয়েছে ভোগমণ্ডপ। সিংহদ্বার বা মন্দিরের প্রবেশদ্বারের সামনে অরুণ স্তম্ভ। ১৬ স্তম্ভের উপর নির্মিত নাটমন্দির। প্রতিদিন দারুমূর্তি পূজিত হবেন।’

    জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে এক সুতোয় জুড়তে চেয়েছেন মমতা। সশরীরে যাঁরা এদিন সৈকত নগরীতে পৌঁছতে পারেননি, তাঁরাও যেন এই আনন্দযজ্ঞ থেকে বঞ্চিত না হন, এটাই তাঁর প্রয়াস। সেই জন্যই বাংলা জুড়ে প্রসাদ বিতরণ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ দিন যাঁরা দিঘায় আছেন, হোটেলে থাকলেও কোনও কারণে মন্দির উদ্বোধনে আসতে পারেননি তাঁদের কাছেও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা। মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়ারদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

    দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় নবজাগরণের স্বপ্নও দেখছেন অনেকে। এদিন মমতার মুখেও ছিল সেই সুর। তাঁর কথায়, ‘৭ দিন ধরে অনুষ্ঠান চলছে। কলসযাত্রা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে যজ্ঞ। আজ দ্বারোদঘাটন। এই মন্দির ধর্মীয় তরঙ্গ তৈরি করবে।’ বক্তব্যের শেষে উচ্চারিত হয় সেই বহুল পরিচিত শ্লোক, ‘নয়নপথগামী জগন্নাথস্বামী’।

  • Link to this news (এই সময়)