• দিঘার মন্দির উদ্বোধনের দিনই মাহেশে জগন্নাথদেবের চন্দন যাত্রা উৎসব
    এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে বুধবার দ্বারোদ্ঘাটন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। এ দিকে বুধবারই শ্রীরামপুরের মাহেশে শুরু হয়েছে জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা উৎসব। এ দিন ভোর চারটের সময় মঙ্গল আরতি দিয়ে শুরু হয় জগন্নাথদেবের বিশেষ পুজো। সকালবেলায় সেখানকার স্থানীয় মহিলারা মন্দিরে এসে চন্দন বাটেন। বেলা এগারোটায় শুরু হয় প্রভু জগন্নাথের চন্দন যাত্রা উৎসব। জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রাকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে উঠেছে মাহেশ। জগন্নাথদেবের চন্দন উৎসবের পেছনে রয়েছে এক অজানা কাহিনী। সেই কাহিনী নিজের মুখে শোনালেন মাহেশের জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী।

    জনশ্রুতি, এক বৈশাখে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে জগন্নাথদেব স্বপ্নাদেশ দেন। স্বপ্নাদেশে জগন্নাথদেব বলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন যেন শীঘ্রই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর মাথায় চন্দনের প্রলেপ দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন। এর পর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন মহাপ্রভুর আদেশ মতো তিনজনের মাথায় চন্দনের প্রলেপ দেন। সেই সময় থেকেই এই উৎসব পালন হচ্ছে। পিয়াল বলেন, ‘এ দিন মাহেশের মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মাথায় চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়। বুধবার থেকে টানা ৪২ দিন প্রভুর মাথায় চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হবে। এর পর ৪৩ দিনের মাথায় মাহেশের মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার স্নানযাত্রা উৎসব।’

    কথিত রয়েছে, তীব্র গরমে মানুষের যেমন মাথা ব্যথা হয়। ঠিক তেমনি মানব রূপী মহাপ্রভু জগন্নাথদেবেরও এই সময়ে মাথায় ব্যথা হয়। স্নানযাত্রার পর ধুম জ্বর আসে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার। তাই লেপ, কম্বল মুড়িয়ে কিছুদিন শুয়ে থাকেন তাঁরা। এর পর কবিরাজের ওষুধ খেয়ে জ্বর সারলে রথে চেপে মাসির বাড়ি যাত্রা করেন প্রভু জগন্নাথ। সেই সময়ই হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রার অনুষ্ঠান।

    ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল বলেন, ‘মাহেশকে মুখ্যমন্ত্রী সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছেন। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আমাদের সিংহদুয়ারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। গেস্ট হাউস হয়নি। তবে সবই জগন্নাথের ইচ্ছে। উনি যে দিন চাইবেন, সে দিন সব কাজ হয়ে যাবে।’ পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা উৎসব হয় মাহেশে। এবার তা ৬২৯ বছরে পা দেবে।

  • Link to this news (এই সময়)