মমতা এদিন বলেন, “সব ধর্মের লোক এসেছে। স্থানীয়দের সাহায্য পেয়েছি, সেলেব-শিল্পপতি সবাইকে ধন্যবাদ। সনাতন ব্রাহ্মণ ধর্ম, আদ্যাপীঠের মহারাজ, স্বামীজির বাড়ি, বেলুড় মঠ, জয়রামবাটি, কামারপুকুর, কালীঘাট, ইসকন, পুরীর দ্বৈতপতি সবাই এসেছেন। সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষ এসেছেন। তিন বছর ধরে কাজ শেষ হয়েছে। হিডকোর সকলকে অভিনন্দন। যাঁরা এই কাজ করেছেন সকলকে ধন্যবাদ। মন্দির চত্বরকে কেন্দ্র করে ৫০০-র বেশি গাছ বসানো হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান হিসেবে পর্যটক তরঙ্গে উন্মদনার প্লাবন তৈরি করবে এই মন্দির। সবাই আসুন। সবারে করি আহ্বান।” মমতা আরও বলেন, “সকলেই ভোগ পাবেন। গজা, প্যারা, খাজার দোকান হচ্ছে। মন্দিরের ছবি, প্রসাদ সারা বাংলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। গোটা দেশে যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। ইসকন ভোগের ব্যবস্থা করবে রোজ।” সারা বিশ্বে শান্তিকামনা করে জগন্নাথ মন্দিরে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ক’দিন ধরে হয়েছে সম্পূর্ণ শাস্ত্রীয় রীতি মেনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান। কলসযাত্রার পর মঙ্গলবার মহাযজ্ঞ করা হয়। এদিন জগন্নাথ মন্দির দ্বারোদ্ঘাটনের শুভক্ষণে দিঘায় চাঁদের হাট। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। দেব, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভলি মৈত্র, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচি, শ্রীকান্ত মোহতা, অরিন্দম শীল, নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ ছিলেন দিঘায়। জগন্নাথদেবের টানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন টেলিপর্দার তারকারাও। দেখা যায় দেবলীনা কুমার, ভিভান ঘোষকেও। অনুষ্ঠান পর্ব শেষের পরই এদিন কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বড়বাজারের মেছুয়া বাজারের ফলপট্টিতে যেতে পারেন তিনি।