অর্ণব আইচ: কী থেকে বড়বাজারের হোটেলে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড? যথাযথ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি? মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এহেন একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। পরিস্থিতি মোটের উপর আয়ত্তে আসতেই গোটা বিষয়টা খোলসা করলেন দমকল বিভাগের ডিজি রনবীর কুমার। জানালেন, প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত করা ছিল। দাবি করলেন, বাজেনি ফায়ার অ্যালার্ম। অকেজো ছিল আগুন নেভানোর যন্ত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছিল বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের একটি হোটেল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ঘটনার পর থেকেই পলাতক হোটেল মালিক। প্রথম থেকেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ও মালিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কী থেকে এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, তা নিয়েও কানাঘুষো চলছিল। আগুন আয়ত্তে আসার পর রনবীর কুমার জানালেন ঠিক কী ঘটেছিল। তাঁর কথায়, “একতলা থেকে আগুন লাগে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত তা ছড়াতে শুরু করে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হোটেল। ফায়ার অ্যালার্ম কাজ করেনি। ২০২২ সালের পর ফায়ার লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হয়নি।” তিনিই জানিয়েছেন দমকল বিভাগের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় উঠে এসেছে আরও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, ওই হোটেলে বেআইনিভাবে চলছিল পানশালা। গত কয়েকমাস ধরে ছয়তলা বাদে হোটেলের অধিকাংশ উন্মুক্ত জায়গা ইট ও সিমেন্ট দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পুরোপুরি বদ্ধ করে ফেলা হয় হোটেল। সেই কারণেই ধোঁয়া কোনওমতেই বাইরে বের হতে পারেনি বলে খবর। এখানেই শেষ নয়, ১৯৯৩ সালে তৈরি এই হোটেলের ছাদে সম্প্রতি বেআইনিভাবে আটটি ঘর তৈরি করা হয়েছিল বলে খবর।