দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পরই বিকেলে মন্দির দর্শনে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বুধবার মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলেই সস্ত্রীক মন্দিরে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। দিলীপকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এর পরই সোজা গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন তাঁরা। পুজোও দেন নবদম্পতি দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার। এ দিনই আবার কাঁথিতে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ‘সনাতনী সম্মেলন’ রয়েছে। তবে দিলীপ সেখানে না গিয়ে উলুবেড়িয়া থেকে সরাসরি পৌঁছন দিঘায়। দিলীপ ঘোষ যখন মন্দিরে, ভিতরেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান দিলীপ।
বিশ্রামকক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্পও করতে দেখা যায় দিলীপকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিলীপ জানতে চান, ‘আপনি কখন এসেছেন?’ মমতা উত্তর দেন, ’ তিন দিন ধরে বসে আছি। পাঁচ সাতজন মন্ত্রীও আছেন।’ এর পর বেশ কিছুক্ষণ হালকা চালে কথাও হয় তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফেসবুক পেজে সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন।
দিলীপ ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন, বুধবার হাওড়ায় কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তবে মুখ্যসচিব যখন আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করবেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের দিনই মন্দিরে যেতে। কথা রাখেন দিলীপ। বিকেলেই পৌঁছন মন্দিরে।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে বিরোধী শিবিরের অনেকেই আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে খবর। তবে যে কোনও কারণেই হোক, উপস্থিত থাকেননি কেউই। তবে প্রথম থেকেই দিলীপ ঘোষের উপস্থিতির সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। বিকেল ৫টা ২০ নাগাদ সেই সম্ভাবনাই সত্যি করে হাজির হন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ মানেই সব সময় ‘সুপার কুল’। এ দিন সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, বিরোধী দলনেতা-সহ অন্য বিজেপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাঁরা তো আসলেন না। দিলীপের জবাব, ‘দিলীপ ঘোষ অলওয়েজ় স্পেশাল। দলের তরফে কোনও বাধা ছিল না। আর এই ধরনের অনুষ্ঠানে দল বাধা হতে পারে না। আমি তীর্থস্থান ভালোবাসি, তাই এসেছি।’