• মমতার সঙ্গে দিলীপের সাক্ষাৎ, রে রে করে ময়দানে বিজেপির বঙ্গ-ব্রিগেড
    এই সময় | ০১ মে ২০২৫
  • দিলীপ ঘোষের দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া নিয়ে একেবারেই খুশি নয় বিজেপি। আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দিয়েছেন, দিলীপ ঘোষ যাবেন কি যাবেন না, তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে মুর্শিদাবাদের ঘটনার আবহে দল তা ‘অনুমোদন’ করে না। যদিও দিলীপ ঘোষই বা কবে, কার ‘অনুমোদন’-এর তোয়াক্কা করেছেন? তিনিও দিঘার মন্দিরে পৌঁছেই সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট করে দেন, ‘যার সমালোচনা করার, করবেই। ভগবানের কাছে যাওয়ার জন্য কারও অনুমতি নিতে হবে, কেউ চোখ দেখাবে, দিলীপ ঘোষ তার পরোয়া করে না।’ তবে সুকান্ত মজুমদার কিছুটা রাখঢাক করে বললেও, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরা কড়া সমালোচনা করেছেন দিলীপের দিঘা সফরের।

    বাংলায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন, তাও আবার রাজ্যের সৈকত শহর দিঘায়। এই মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে গত এক-দেড় মাস ধরে উন্মাদনার পারদ চড়েছে। তবে বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন এ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন ঘিরে যত ধুমধাম হয়েছে, একই ভাবে শোরগোল ফেলেছে জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পর বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সেই মন্দিরে পৌঁছনোর ছবি ঘিরে। মন্দির ঘুরে দেখা, পুজো দেওয়া, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ— সব মিলিয়ে একেবারে হইহই ব্যাপার।

    যদিও এ ছবি একেবারেই ভালো ভাবে নেয়নি বঙ্গ বিজেপির নেতারা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সোশ্যাল পোস্টে সরাসরি আক্রমণ করেছেন, ‘একজনকে ‘ত্যাগী’ থেকে কী ভাবে ‘ভোগী’ হতে হয়, তার আদর্শ নিদর্শন আপনি দিলীপবাবু। কতটা নির্লজ্জ হলে এমন আদর্শবান পুরুষ হওয়া যায় তা চিন্তার বিষয়। বাংলার বিজেপির লজ্জা আপনি।’

    বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরও পোস্ট কিছুটা একই রকম, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একাধিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করলেও আজকের কাজকে সমর্থন করা যায় না।... সরকার আমার আপনার করের টাকা খরচ করে কালচারাল সেন্টার বানিয়েছে। সেটা দেখতে যাওয়ার মধ্যে আপত্তির কিছু ছিল না। যার পাশে বসে গল্প করছেন সেটা নিয়ে আপত্তি আছে দিলীপদা। আপনার অনেক মন্তব্যের পরেও আপনাকে আমার মতো সাধারণ কার্যকর্তারা সমর্থন করেছেন। সেই সমর্থন মনে হয় হারালেন।’

    বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরও পোস্ট কিছুটা একই রকম, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একাধিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করলেও আজকের কাজকে করা যায় না।... সরকার আমার আপনার করের টাকা খরচ করে কালচারাল সেন্টার বানিয়েছে। সেটা দেখতে যাওয়ার মধ্যে আপত্তির কিছু ছিল না। যার পাশে বসে গল্প করছেন সেটা নিয়ে আপত্তি আছে দিলীপদা। আপনার অনেক মন্তব্যের পরেও আপনাকে আমার মতো সাধারণ কার্যকর্তারা সমর্থন করেছেন। সেই সমর্থন মনে হয় হারালেন।’

    তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমন্ত্রণে দিলীপ ঘোষের সাড়া দেওয়া, নিঃসন্দেহে আলাদা তাৎপর্যের দাবি রাখে। দিলীপের এই উপস্থিতি বিজেপির অন্দরে তো বটেই, সাধারণের মনেও সংশয়ের জন্ম দিল। উস্কে দিল নানা প্রশ্ন, যার উত্তর একমাত্র সময়ের কাছেই গচ্ছিত রয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)