মধ্য কলকাতার মেছুয়ায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই সময়ে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন কর্মসূচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করেছে তৃণমূলও।
বুধবার অবশ্য শুভেন্দু নিজেও কাঁথিতে ‘সনাতনী সমাবেশ’ করেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মমতার জগন্নাথ মন্দিরের পাল্টা বিরোধী দলনেতার এই আয়োজন। এ দিন সমাবেশ থেকে শুভেন্দুও হিন্দু জাগরণের ডাক দিয়েছেন। সঙ্গে আক্রমণ করেন মমতাকেও।
শুভেন্দু বলেন, ‘কলকাতায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একাধিক মানুষের মৃত্যুর পরে রাজ্যের পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে নিয়ে গিয়ে মাছ-মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। কোনও হেল্পলাইন নম্বর নেই, কোনও ডিটেইলস নেই। জগন্নাথ মন্দিরের নামে সাংস্কৃতিক সেন্টারে ফূর্তি চলছে।’
জগন্নাথ মন্দিরে সনাতনী নিয়মকানুন মানা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, এই কারণেই ২ শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন বলেও দাবি করলেন তিনি। শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘এ সব পাপের ফল। মন্দিরে চটি পরে ঘুরছে। সনাতনী ব্রাহ্মণদের দিয়ে না করিয়ে ইস্কনের হাতে পুজোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। ফল যা হওয়ার, তাই হচ্ছে।’
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীষূষকান্তি পন্ডা । তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মন্তব্যের জবাব দেওয়াই উচিত নয়। দুর্ঘটনা সব সময়ে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। কিন্ত দিঘার জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন ৩-৪ মাস আগেই ঠিক হয়েছিল। তাছাড়া সরকারি পরিষেবার জন্য আধিকারিকরা রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান শেষে ফিরে নিশ্চয়ই এলাকায় যাবেন। মৃত পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।’
ঘটনায় রাতভর উদ্ধারকাজে তদারকি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ কথা এক্স হ্যান্ডলে নিজেই জানিয়েছেন মমতা। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।